এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল শিশু-কিশোরকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত এবং তাদেঁর আত্নবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদেঁর ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্নবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং জাতীয় শিশু দিবসে দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিবসটি।
দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলা সদরে শিশু সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, গ্রন্থমেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসের তাপর্য তুলে ধরে টেলিভিশন ও বেতারসহ গণমাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হয়।
১৭ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ফাতেহাপাঠসহ বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।