v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-08-01 21:37:57    
বিভিন্ন দেশের দর্শক অলিম্পিক পল্লীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে বেজায় খুশি

cri
    এখন পেইচিংয়ের অলিম্পিক পল্লীর পতাকা চত্বরে প্রায় প্রতি রাতে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের জন্য বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠান দেখে ক্রীড়াবিদদের অনুভূতি কি? প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কি কি হয়?

    প্রতি রাতে ঠিক ৮টায় অলিম্পিক পল্লী'র পতাকা চত্বরে চীনের ঐতিহ্যিক সঙ্গীত বাজানো হয়। এই সঙ্গীত বাজার সঙ্গে সঙ্গে সবাই বুঝে নেয় আজকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে।

    চীনের ঐতিহ্যিক নৃত্য, রসাত্মক অনুকরণমূলক অভিনয় এবং হিপ-পোপ ডান্স শো দেখার পর বিদেশী স্বেচ্ছাসেবক আন্ড্রেস ইউরাইব বলেন:

    "অভিনেতারা খুব সৃজনশীল। তারা আমাদের জন্য খুব চমত্কার অভিনয় করেছেন। চীনের ঐতিহ্যিক নৃত্য খুব সন্দর, পোশাক-আকাকও খুব আকর্ষণীয়। কিন্তু আমি আধুনিক নৃত্য আরো পছন্দ করি। যেমন হিপ-পোপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনটা নেচে ওঠে, চমত্কার। ঐ অনুকরণমূলক অভিনয়ও আমি খুব পছন্দ করি।"

    অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগে ক্রীড়াবিরা আরো বেশি অনুশীলন করে থাকেন। এর পাশাপাশি তাদেরকে নিজের মানসিক অবস্থাও ভালভাবে সমন্বয় করতে হয়। তাই এ রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তাদের পরিশ্রমসাধ্য অনুশীলনের মাঝখানে এক পশলা বিনোদনের কাজ করে। গুয়েতেমালা প্রতিনিধি দলের ডাক্তার ফ্রেডরিক ফ্রিটস্ক বলেন, এ ধরণের অনুষ্ঠান ক্রীড়াবিদদের শরীরমন ফুরফুরে করে দেওয়ার জন্য খুব কাজের।

    "ক্রীড়াবিদরা যত হালকা মেজাজে থাকতে পারবেন পার্ফরমেন্সও তত ভাল হবে। প্রতিযোগিতা কাছে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মানসিক চাপও বেড়ে যায়। এমন অনুষ্ঠান তাদের জন্য খুব ভাল। সঙ্গীত শুনে নৃত্য দেখে আমাদের এখানকার জীবন আরো আনন্দময় হয়ে উঠেছে।"

    তিন দিন আগে অলিম্পিক পল্লীতে পৌঁছার পর ফ্রেডরিক ফ্রিটস্ক এখানকার সব ব্যবস্থা ও সেবা নিয়ে খুব সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, এখানকার আরামদায়ক পরিবেশ এবং চমত্কার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া প্রতিনিধিরা পেইচিং অলিম্পিক সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারছেন।

    "সব কিছুই খুব ভাল। খাবারও আমার খুব পছন্দ। এখানকার মানুষ সবাই খুব খুশি এবং খুব সহায়ক। যে কোনো সাহায্য চাইলে তারা সব সময় হাত বাড়িয়ে দেন। এ পর্যন্ত চীন সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা খুব ভাল। কারণ আমি এখন শুধু অলিম্পিক পল্লীটাই দেখেছি। অন্য কোথাও যাই নি। তবু আমি বিশ্বাস করি অন্য জায়গায় গিয়েও আমার ভাল লাগবে। যেমন মহাপ্রাচীর এবং নিষিদ্ধ নগরে যেতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে।"

    অলিম্পিক পল্লীতে বহু সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতি দিন দেড় ঘন্টার অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতি দিন তারা নির্ধারিত সময়ের আগে কয়েক ঘন্টা ধরে মহড়া করে। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রী'র মুখ সিক্ত ঘামে সিক্ত হয়ে যায়। তারা গান ও নাচের মাধ্যমে নিজের অলিম্পিক আবেগ প্রকাশ করেন। গায়িকা হুয়া জে বিং তাদের মধ্যে একজন।

    "আমি খুব খুশি, কারণ অলিম্পিক পল্লীতে সবার জন্য এমন পরিবেশনার সুযোগ সবাই পায় না। অলিম্পিক পল্লী আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া মাত্রই আমি এখানে পরিবেশনার সুযোগ পেয়েছি। তাই খুব খুশি।"

    অলিম্পিক পল্লীতে নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশী ক্রীড়া প্রতিনিধিরা চীনাদের অতিথেয়তা অনুভব করতে পারছেন। (ইয়াং ওয়েই মিং)