v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-31 16:16:27    
৮ দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ চাঁদ অনুসন্ধান চুক্তি

cri
    ২৯ জুলাই নাসা ঘোষণা করেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ,দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ,কানাডা, বৃটেন, ফ্রান্স,জার্মানী ও ইতালি এই আটটি দেশের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারা যৌথভাবে চাঁদ অনুসন্ধান তত্পরতা চালাবে।

    আটটি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার ক্ষেত্রে নাসা যে সব বিষয়বস্তু অন্তর্ভূক্ত করেছে সেগুলো হচ্ছে, চাঁদ যৌথভাবে অনুসন্ধান নভোযান ও চাঁদের কাছে উড্ডয়নের জন্য মহাকাশচারী পরিবহন সরঞ্জাম উত্ক্ষেপণ এবং চন্দ্র পৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। যাতে মানবজাতির পুনরায় চাঁদে আরোহণ বাস্তবায়ন করা যায়।

    উল্লেখ্য, সদ্য-সমাপ্ত নয়টি দেশের বিজ্ঞান গবেষণা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের যৌথ অংশ গ্রহণে অনু্ঠিত এক সেমিনারে বিজ্ঞানীরা সহযোগিতার মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক চাঁদ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চাঁদে ছয় থেকে আটটি চলমান অথবা স্থির বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এসব বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র দ্বিতীয় প্রজন্মের স্বয়ংক্রিয় বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কে পরিণত হবে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো পরিকল্পনায় চাঁদ গবেষণার হার্ডওয়্যার স্থলাভিষিক্ত হবে। তবে পরবর্তী কয়েক বছরের সহযোগিতা পরিকল্পনায় চাঁদ অনুসন্ধান প্রকল্পটি মানববাহী নভোযান সম্পর্কিত নয়। এতে শুধু চালক-বিহীন নভোযান উত্ক্ষেপণ করা হবে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বহু দেশের চাঁদ যৌথ অনুসন্ধান সংগঠিত করার উদ্দেশ্য হলো মানবজাতির পুনরায় চাঁদে আরোহণ একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কর্মসূচীতে রূপ দেওযা, যাতে মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পশ্চাত্পদ দেশগুলোকে আরো বেশি সুযোগ দেয়া এবং বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়। তবে কিছু লোক মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযানের লক্ষ্য হলো অর্থনীতির ধীর গতির পরিপেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নাসাকে বাজেট কমিয়ে দেওয়ায় বহু দেশের সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে অর্থের চাপ কমানো।

    ১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলোর চাঁদে আরোহণ পরিকল্পনা কার্যকরের পর পর্যবেক্ষণের তত্পরতা তেমন একটা ছিল না। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাঁদ অনুসন্ধান কার্যক্রম আবার ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। চীন ও জাপান চাঁদে উপগ্রহ পাঠিয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ চাঁদ অনুসন্ধানের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের বহু দেশকে একসঙ্গে নিয়ে চাঁদ যৌথ অনুসন্ধান করার উদ্যোগে সম্পর্কে মার্কিন জনগণের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সমর্থনকারীরা মনে করে, এ পরিকল্পনা মানবজাতির মহা বিশ্ব অনুসন্ধানে যৌথ উন্নয়ন চেতনারই প্রতীক। আন্তর্জাতিক মহাশূন্য কেন্দ্রের মত শান্তি, সমতা ও সম্প্রীতির চেতনার প্রতীক। তারা মনে করেন, ভবিষ্যতে অব্যশই সহযোগিতার মাধ্যমে মহা বিশ্ব সম্পদ উন্নয়ন করা যাবে। কেউ কেউ মনে করে, বহু দেশের সহযোগিতায় এ প্রকল্প আরো বেশি অর্থ ও প্রযুক্তির সমাহার ঘটাতে পারবে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ কমবে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন যৌথ ত্বরান্বিত হবে।

    কিছু লোক সংশয় প্রকাশ করেছে যে, বিভিন্ন দেশ যার যার প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান গবেষণার ফলাফল পুরোপুরি ভাগাভাগি করবে কি না। কিছু লোক সমালোচনা করেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগ নাসার অন্যান্য দেশের প্রযুক্তির অবস্থা সম্পর্কে জানা ও বোঝার একটি কৌশল এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহতভাবে বজায় রাখা। চীন ও রাশিয়া এ সহযোগিতা প্রকল্পে যোগ দেয় নি, যা অনেকের সন্দেহগ্রস্ত হওয়ার মূল কারণ।(লিলু)