v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-25 16:26:51    
আসিয়ান ফোরামের ৮ প্রস্তাব

cri
২৪ জুলাই সিঙ্গাপুরে ১৫তম আসিয়ান ফোরামের বৈঠকে 'চেয়ারম্যানের ঘোষণা' প্রকাশিত হয়েছে। এতে জোর দিয়েসংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

ঘোষণায় বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলের বহুপক্ষীয় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক ফোরাম হিসেবে আসিয়ান ফোরাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঘোষণায় আসিয়ান ফোরামের সদস্য দেশগুলোকে ফোরামকে এগিয়ে নিতে অব্যাহতভাবে অবদান রাখার জন্য উত্সাহিত করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা গত বছরে আসিয়ান ফোরাম এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার এবং সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক আস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেন্ঞ্জ আগের চেয়ে আরো জটিল আকার নিয়েছে এবং এর ব্যাপকতা আরেক বেড়েছে। সেজন্য অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, ভবিষ্যতে ফোরামের উচিত আরো বিশাদ ও ব্যাপক সহযোগিতা চালানো।

বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা এবারের ফোরামে দুর্যোগ ত্রাণসহাযোগিতা বিষয়ক সাধারণ দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। অংশগ্রহণকারীরা মিয়ানমারের ঘূর্ণি ঝড় ও চীনের সিছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পের গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেন। তাঁরা মনে করেন, আসিয়ানের মানবিক টাক্স ফোর্স মিয়ানমারের দুর্গত নাগরিকদেরকে কার্যকর সাহায্য দিয়েছে। আসিয়ানের বেশির ভাগ সদস্য দেশ প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। সেজন্য অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান ফোরামের উচিত আকস্মিক দুর্যোগ মোকাবেলা, দুর্যোগ প্রতিরোধ, উদ্ধার ও ত্রাণ এবং পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করা। এছাড়া, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যৌথ মহড়া ও প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত। অংশগ্রহণকারীরা আঞ্চলিক সহযোগিতা নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য চারটি প্রস্তাব করেছে। ১. সামরিক বাহিনীর সম্পদ অর্থ ও ব্যক্তিরা আঞ্চলিক দুর্যোগ উদ্ধার ও ত্রাণে দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সেজন্য সদস্য দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়ার মধ্য দিয়ে তথ্য যোগাযোগ বাস্তবায়িত হতে পারে। বহু দেশের যৌথ মহড়ার মাধ্যমে বেসামরিক উদ্ধার ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার হবে। এতে বহু দেশে সংঘটিত ও গুরুতর দুর্যোগ মোকাবিলা সহজ হবে। ২. আসিয়ান ১৪তম ফোরামে গৃহীত 'আসিয়ান ফোরামের দুর্যোগ উদ্ধার ও ত্রাণ সহযোগিতার নীতি' কার্যকর হওয়ার পর বিভিন্ন সদস্য দেশের দুর্যোগ উদ্ধার ও ত্রাণ বিভাগের মধ্যে সমঝোতা ও সহযোগিতা জোরদার হয়েছে। ৩. আসিয়নের দুর্যোগ উদ্ধার ও ত্রাণ বিষয়ক বিভাগের উচিত সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা মাধ্যমে কর্মসূচী প্রণয়ন করা। ৪. অংশগ্রহণকারীরা ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আসিয়ান যৌথ দুর্যোগ উদ্ধার ও ত্রাণ মহড়া বিষয়ক প্রস্তাবকে সমর্থন দেয়।

অংশগ্রহণকারীরা কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা ও চীনের দক্ষিণ সমুদ্রের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়াও তাঁরা ১৯ সেপ্টেম্বরের যৌথ বিবৃতির বাস্তবায়নের অনুমোদন দেন। ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ে 'দক্ষিণ-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি উন্নয়ন বিষয়ক ঘোষণা' স্বাক্ষর করে। অংশগ্রহণকারীরা এই ঘোষণার ভিত্তিতে দু'দেশের মধ্যে অব্যাহত সংলাপ বজায় রাখার সমর্থন করেন। ২০০২ সালে আসিয়ান চীনের সঙ্গে 'দক্ষিণ চীন সাগরে বিভিন্ন পক্ষের আচরণ বিষয়ক ঘোষণা'স্বাক্ষর করে। এতে আসিয়ানের বিভিন্ন সদস্য দেশ শান্তিপূণভাবে এ অঞ্চলের মতভেদ নিরসনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ঘোষণা স্বাক্ষরের মাধ্যমে কার্যকর বিভিন্ন পক্ষের পারস্পরিক আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য অনুকূল। অংশগ্রহণকারীরা আশা করেন, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ খুব শিগগির দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক আচরণবিধি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে।

এছাড়া, কার্যকর সন্ত্রাস দমনের জন্য অংশগ্রহণকারীরা সন্ত্রাস ও আন্তঃদেশীয় অপরধি দমনের আসিয়ান ফোরাম কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সমর্থন করেন। ইটারনেট নিরাপত্তা ও ইন্টারনেট দমন নিয়ে বিশেষজ্ঞ সম্মেলনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান ফোরামের উচিত সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে অন্য অঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করা।

ছাই ইউয়ে