পেইচিং অলিম্পিক গেমস ও প্রতিবন্ধী অলিম্পিক গেমস চলাকালে দেশিবিদেশী অতিথি ও বন্ধুরা পেইচিংয়ে প্রায় ২০০টি বিশ্বমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন এবং সারা পেইচিংয়ে ছড়িয়ে পড়া ২৬টি উন্মুক্ত মাঠে গণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন । ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে একটি উন্মুক্ত ও বহুমুখী চীনের ভাবমূর্তি প্রদর্শিত হবে বলে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটি , পেইচিং পৌর সংস্কৃতি ব্যুরোসহ বেশ কয়েকটি বিভাগ আশা করে ।
আপনারা যে কবিতাটি শুনছেন সেটি পেইচিং মহা গণ ভবনে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের পবিত্র অগ্নি প্রজ্বলনকারীগ্রীসের নারী পুরোহিতের আবৃত্তি করা কবিতা "সূর্য দেবতা অ্যাপোলোর উদ্দেশ্য প্রার্থনা" । তার আবৃত্তিরসাথে সাথে ষষ্ঠ অলিম্পিক শিল্পকলা দিবস ও " পেইচিং ২০০৮ সাংস্কৃতিক সম্মিলন" আনুষ্ঠানিকভাবেশুরু হয় ।
এর অর্থ হল জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিবন্ধী অলিম্পিক গেমস শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পেইচিংয়ে প্রতিদিন তিন-চারটি বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন । বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার শিল্পী এগুলোতে পরিবেশন করবেন । এ ছাড়াও দেশবিদেশের ১৬০টি বড় ধরণের প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হবে ।
চীনের বৈদেশিক পরিবেশনা কোম্পানি আন্তর্জাতিক প্রকল্প চীনে আমদানি করে । কোম্পানিটির মহা ব্যবস্থাপক চাং ইউয়ু বলেন , এ জন্য তারা গত এক বছরে প্রস্তুতিমূলক কাজ করেছেন । এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি প্রদর্শিত হবে বলে তিনি আশা করেন । তিনি বলেন, অলিম্পিক গেমস সারা বিশ্বের উত্সব । অন্যান্য অলিম্পিক গেমসের স্বাগতিকরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিল্পী দল ও শিল্পকর্মের সমাবেশ ঘটিয়েছি ।
চাং ইউয়ু বলেন , অলিম্পিক গেমস চলাকালে স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও রাশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিল্পী দল পেইচিংয়ের মঞ্চে পরিবেশন করবেন ।
পেইচিং সংস্কৃতি ব্যুরোর তথ্য বিভাগের মুখপাত্র ওয়াং চু বলেন , পেইচিংয়ে মোট ২৬টি উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক মাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দর্শকরা একটানা ৬৬ দিন ধরে প্রতিদিন ৮ ঘন্টার অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন । জানা গেছে , ৬০০টি শিল্পীদলের মধ্যে বিদেশী শিল্পী দল ও পেইচিং নাগরিকদের উদ্যোগে সংগঠিত লোক শিল্পীদল রয়েছে ।
চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি প্রদর্শন ধারাবাহিক তত্পরতার একটি বিশেষ অংশ । অলিম্পিক গেমস চলাকালে পেইচিংয়ের কিছু কিছু পার্কে চীনের ঐতিহ্যিক রংবেরঙের লন্ঠন প্রদর্শনীহবে । পর্যটকরা সেখানে পেইচিংয়ের ঐতিহ্যিক হস্তশিল্প তৈরীর কাজে অংশ নিতে পারবেন এবং চীনের ৫ হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক ইতিহাস অনুভব করতে পারবেন ।
দেশিবিদেশী তরুণ শিল্পীদের একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পর হল্যান্ডের চিত্রশিল্পী সিমেন ফিশার বলেন , এই সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব সুন্দর হয়েছে । পরস্পরের কাছ থেকে ভিন্ন সংস্কৃতি শেখা যায় । বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষ পরস্পরকে বুঝতে পারে । এটা ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
অলিম্পিক গেমস চলাকালে বিশ্বের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি প্রদর্শনকরা চীন সরকারের উদ্দেশ্য । চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তিন ওয়েই মনে করেন , এই সব কর্মসূচী মানবজাতির সভ্যতা , সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের মতামত ও আন্তরিকতা প্রমাণ করবে এবং বিশ্বজনগণকে একটি উন্মুক্ত ও বহুমুখী চীনকে জানতে সাহায্য করবে । চুং শাওলি
|