v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-23 18:59:50    
পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান তথ্য কেন্দ্র

cri
    ৮ জুলাই পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন হতে আর এক মাস বাকি। সে দিন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান তথ্য কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। তা ছাড়া প্রচার স্বত্ব প্রাপ্ত সংবাদদাতাদের জন্য সেবা সরবরাহ শুরু হয়। এতে প্রতিফলিত হয়েছে যে, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতিমূলক কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। কোনো কোনো কাজ আসলে প্রস্তুতিমূলক অবস্থা থেকে কার্যকর করার অবস্থায় উন্নীত হয়েছে।

    ৮ জুলাই সকালে পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান লি ছি ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সমন্বয় কমিশনের চেয়ারম্যান হেইন ভেরব্রুগেন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান তথ্য কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

    জানা গেছে, মোট ২৬ হাজার প্রচার স্বত্ব প্রাপ্ত সংবাদদাতা পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রচারে অংশ নেবেন। এ সব সংবাদদাতা পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান তথ্য কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্রে কাজ করবেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র বিশেষভাবে বিশেষ স্বত্ব প্রাপ্ত সম্প্রচার ব্যবায়ীদের জন্য সেবা দেবে। একটি সাক্ষাত্কারে প্রধান তথ্য কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্রের ব্যবস্থপনা বিভাগের পরিচালক সাও ওয়েন ছুয়েন ব্যাখ্যা করে বলেছেন ,

    এ পযর্ন্ত মোট ১৪৪টি তথ্য মাধ্যম সংস্থা প্রধান তথ্য কেন্দ্রে ১১০টি কক্ষ ভাড়া করেছে । এ দুটি সংখ্যা অলিম্পিক ইতিহাসের রেকর্ড হয়েছে।

এত বেশী তথ্য মাধ্যমের জন্য পেশাগত ও পুংখানুপুংখ সেবা দেওয়ার জন্য পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক গেমস আয়োজকরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়েছেন। সাক্ষাত্কার নেওয়া , প্রযুক্তি সরবরাহ ও জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সংবাদদাতাদের জন্য সবচেয়ে পেশাগত সেবা যোগানোর চেস্টা চালানো হবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সমন্বয় কমিশনের চেয়ারম্যান হেইন ভেরব্রুগেন প্রধান তথ্য কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক বেতারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । তিনি বলেন,

    প্রধান তথ্য কেন্দ্র কেবল সংবাদদাতাদের কাজকর্মের জায়গা তাই নয় তাদের দ্বিতীয় বাসাও। তারা ২৪ ঘন্টায় এখানে কাজ করেন। তাদের শ্রোতা ও দর্শকদের জন্য অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য দেয়া হয়। আমরা আয়োজকদের চমত্কার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি । কারন তারা সংবাদদাতাদের জন্য সম্ভাব্য সকল সুযোগসুবিধা যুগিয়ে দেবেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই জায়গা সারা বিশ্বের তথ্য মাধ্যমের পরিবারে পরিণত হয়েছে।

পেইচিং অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার আগে প্রধান তথ্য কেন্দ্রে প্রতি দিন কমপক্ষে এক বার একটি সংবাদ ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।

       ৮ থেকে ১৪ জুলাই পযর্ন্ত , পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তর চীনের অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, হেলোংচিয়াং ও জিলিন প্রদেশে চালু হয়েছিল । হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণ তাদের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পদ্ধতিতে অলিম্পিক গেমসের পবিত্র অগ্নির প্রতি উষ্ণ প্রকাশ করেছেন।১২ জুলাই হারবিন শহরে পেইচিং অলিম্পিক মশাল হস্তান্তর চালানো হয়। চীনের বিখ্যাত ফিগার স্কেটিং বিশ্ব চ্যাম্পীয়ন সেনশুয়ে ও চাও হং বো দুজনই একটি মশাল ধরে যাত্রা করেছেন। তারা দু'জনই পবিত্র ব্যসিনে আগুণ প্রজ্বলন করেন। চাও হং বো বলেন,

     আমি খুব আনন্দিত ও খুব মুগ্ধ। ১৯৯৮ সালে জাপানের নাগানো শীতকালীণ অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছি। আমি চীনের ক্রীড়া প্রতিনিধি দলের জাতীয় পাতাকাবাহক হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। তখন আমি স্বচক্ষে স্টেডিয়ামে অলিম্পিক মশাল হস্তান্তর ও পবিত্র অগ্নির প্ল্যাথে আগুণ প্রজ্বলনের গোটা প্রক্রিয়া দেখেছি। তখন আমি অত্যন্ত উত্তেজিত । আমি কল্পনা করতে পারিনি যে আজ আমি মশালবাহক হতে পরি। তা ছাড়া, আমার জন্মস্থানে মশাল হস্তান্তর করেছি বলে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত।

    ৮ জুলাই থেকে, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের জন্য বিশেষ ও ভাড়াত বিমানের বলিন ব্রিজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। অলিম্পিক গেমস চলাকালে আসা-চাওয়া মানুষের জন্য চীনের শুল্ক বিভাগ সরেজমিনে " অলিম্পিক গেমসের জন্য বিশেষ পথ" উন্মোচন করেছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদ ও অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের মালপত্র যাতে তাড়াতাড়ি চেক করা যায় সে জন্য শুল্ক বিভাগ তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেবে। সাধারণত ৯৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক পযর্টক শুল্ক বিভাগে পরীক্ষার জন্য ২৫ মিনিটের বেশী সময় অপেক্ষা করবে না।

     পেইচিং শহরের পযর্টন ব্যরো প্রকাশিত সর্বশেষ এক উপাত্ত থেকে জানা গেছে, ১১ জুলাই পযর্ন্ত অলিম্পিক গেমস চলাকালে পেইচিং পর্যটন সংস্থা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটককে স্বাগত জানাবে। ১১ জুলাই পেইচিং পযর্টন ব্যুরোর উপ মহা পরিচালক শং ইয়ে মেই বলেছেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমস চলাকালে বিপুল সংখ্যক টিকিটধারী দর্শক অন্যান্য পথে চীনে আসবেন। তখন চীনে প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন ৪ লাখ ৫০ হাজার বিদেশী পেইচিংএ আসবেন। তিনি আরও বলেন, অলিম্পিক গেমস চলাকালে পেইচি শহরের পযর্টন সংস্থা বিভিন্ন দেশের দর্শক ও পযর্টকদের জন্য বহু ধরনের বিদেশী ভাষার সেবা যোগাবে। বতর্মানে চীনা , ইংরেজি, ফ্রান্জ, জাপানী, কোরীয় , স্পেনিস, আরব প্রভৃতি ৮টি ভাষায় লেখা " দশর্কদের অবস্থান সম্পর্কে" গাইডবই প্রকাশিত হয়েছে। পেইচিং পযর্টন তথ্য ওয়েবসাইটে ইংরেজি, ফ্রান্জ, স্পেনিস , আরব ও জাপানী ভাষার কালম সম্পূর্ণভাবে তুলা হয়েছে।

      ইয়ে মেই আরও বলেন, বতর্মানে পেইচিং শহরের পযর্টন সংস্থার অভ্যর্থনা কাজ মোটামুটি প্রস্তুত। তাদের যেথেষ্ট দক্ষত্য আছে। দেশী বিদেশী পযর্টকদেরকে উচ্চ মানের সেবা দেওয়ার সার্মথনা এ সব পর্যটন সংস্থার আছে।

    অস্ট্রেলিয়ার নিউকাষ্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক ১০ জুলাই ভোরে পেইচিং রাজধানী বিমান বন্দরে পৌঁছে এসেছেন। এ পযর্ন্ত পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ গ্রহণকারী ২৯২ জন স্বেচ্ছাসেবক পেইচিং পৌঁছেছেন।

    গেছে, অষ্ট্রেলিয়া থেকে আসা এ সব স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে অধিকাংশই হলেন তথ্য অথবা গণ যোগাযোগ বিষয়ের ছাত্রছাত্রী। পেইচিং অলিম্পিক গেমস চলাকালে তারা সাংবাদিকতা হিসেবে কাজ করবেন। তারা আটটি প্রতিযোগিতার ভেন্যুতে কাজ করবেন। এ সব ভেন্যুর মধ্যে আছে রাষ্ট্রীয় সাঁতার কেন্দ্র . পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের টেবিল-টেনিস স্টেডিয়াম। তাদের প্রধান কাজ হল প্রতিযোগিতার পর ক্রীড়াবিদদের সাক্ষাত্কার নেওয়া। সাক্ষাত্কারের পর তারা সাক্ষাত্কারের বিষয় পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান তথ্য কেন্দ্রের কাছে পাঠায়।

     অলিম্পিক গেমসের নিরাপত্তা রক্ষী ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সেনা পক্ষের কর্মকর্তা তিয়েন ই শিয়াং ১০ জুলাই বলেছেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী পুরোপুরি মোতেয়ন হয়েছে। চীন সরকারের দেয়া বিভিন্ন নিরাপত্তা রক্ষী কর্তব্য সম্পন্ন করার ক্ষমতা সেনাবাহিনীর সার্মথ্য আছে। তিয়েন ই ইয়াং বলেন, সেনাবাহিনী নিজের উত্কৃষ্ট উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

এতক্ষণ শুনলেন আজকের প্রতিবেদন। শোনার জন্য ধন্যবাদ।