v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-17 18:30:04    
জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা

cri

    ১৯৭৯ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বিজ্ঞানী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্বের বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বাড়বে। সেবার জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রথম বারের মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি-আকর্ষণী সমস্যা হিসেবে আলোচ্য সূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষ কমিটি বা আইপিসিসি গঠন। 'জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো চুক্তি' ও 'কিওটো প্রটোকল' গৃহীত হওয়া এবং উন্নত দেশগুলোর বিষাক্ত গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য সময়সূচী নির্ধারণ করা।

    জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এখনও উদ্বেগজনক পর্যায় রয়েছে। সুতরাং মানবজাতির উন্নয়নের ভবিষ্যত্‌ও বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। ২০০৭ সালে আইপিসিসি প্রকাশিত চতুর্থ জলবায়ু পরিবর্তন পর্যালোচনা রিপোর্ট অনুযায়ী, মানবজাতির তত্পরতাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭৫০ সাল থেকে বিশ্ব বায়ুমন্ডলে বিষাক্ত গ্রীনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব মানব তত্পরতার কারণে স্পষ্টভাবে বেড়েছে। বর্তমানে তা শিল্প বিপ্লব পর্বের আগে লাখ লাখ বছরে মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এর মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ৬ লাখ ৫০ হাজার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু উষ্ণ হয়ে ওঠার সঙ্গে স

ঙ্গে বিশ্বের তুষার ও তুষার আবরনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এর পরিনাম হিসেবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতার বৃদ্ধি উপকূলবর্তী বহু অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অনেক অঞ্চলের বৃষ্টিপাতেও পরিবর্তন এসেছে। ২০ শতাব্দীর ৭০ দশক থেকে বহু অঞ্চলে অনাবৃষ্টির হার বাড়তে থাকে এবং অনাবৃষ্টির স্থায়ীত্বও অনেক বেশি। বিশেষ করে গ্রীষ্মমগুলীয় ও আধা গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে এই ঘটনা বেশি। রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, ২০০৭ সাল থেকে ২০৮০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বাড়বে। ১শ' ১০ থেকে ৩শ' ২০ কোটি মানুষ পানীয় জল সংকটের মুখে পড়বে। ২০ থেকে ৬০ কোটি মানুষ অনাহারে পড়বে এবং প্রতি বছর উপকূলীয় অঞ্চলের ২০ থেকে ৭০ কোটি অধিবাসী বন্যা দুর্যোগের মুখোমুখি হতে পারে।