সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বসিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এসেছেন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের কৌসুলি লুইস মোরেনো ওকামপো। ১৪ জুলাই তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ওমর হাসান আল বসির দারফুর অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধী সংঘটিত করছেন।তিনি আদালতেরের কাছে ওমর আল বশিসরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়না জারী করার অনুরোধ জানান।
এই দিন লুইস মোরেনো ওকামাপো আই সি সির কাছে প্রাসঙ্গিক প্রমাণ দাখিল করেছেন। প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল-বশিরের বিরুদ্ধে দারফুর অঞ্চলে " গণতহ্যা" ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ করা হয়।
সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলি আল-সাদক বলেছেন, আই সি সির সিদ্ধান্ত সুদানের শান্তি প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবে। তা ছাড়া এতে সুদানের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রক্রিয়াও বিঘ্নিত হবে। সুদানের অধিকাংশ বিরোধী দলও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আই সি সি যদি ওমর হাসান আল-বশিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাহলে সুদানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
একই দিন জাতি সংঘ মহা সচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি আই সি সির কৌসুলির অভিযোগ নিয়ে " অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ওমর হাসান আল-বশিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে শান্তি রক্ষা কর্মকান্ডের আরাত্মক ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, আই সি সি একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলে জাতি সংঘের তার স্বাধীন বিচার প্রণালীকে সম্মান করা উচিত।
অন্য দিকে আরব ও কয়েকটি আফ্রিকান দেশের নেতারা আই সি সির এই আচরণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আরব লীগ বলেছে, সুদান সংকট নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী সম্মেলন সংস্থা হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছে, আই সি সির কৌঁসুলির অভিযোগ " আরাত্মক পরিণাম ডেকে আনবে।
|