তিনি সংবাদদাতাকে বলেছেন, শ্রীলংকা হচ্ছে ক্রীড়া অনুরাগী একটি দেশ। সুতরাং শ্রীলংকার জনগণও পেইচিং অলিম্পিক মহাসম্মিলনীর প্রতিক্ষায় আছেন। শ্রীলংকার শ্রোতারা সক্রিয়ভাবে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত জ্ঞান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। অনেকেই পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সমর্থনে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এটা পরিষ্কার যে, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সমর্থনে সকল শ্রীলংকা জনগণ এক কাতারে । তিনি বলেন:" শ্রীলংকার জনগণের ক্রীড়া নিয়ে গভীর আগ্রহ রয়েছে। চীন শ্রীলংকার আন্তরিক বন্ধু । এবার অলিম্পিক গেমস পেইচিং আয়োজন করবে বলে শ্রীলংকার মানুষের অংশগ্রহণের উত্সাহ অনেক বেশি । চীন আন্তর্জাতিক বেতার অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত জ্ঞান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধরণের বিষয়ে অংশ নিতে শ্রীলংকার মানুষ আনন্দ বোধ করে।"
তিনি মজা করে বলেন, যদি নিজের বয়স ৩০ বছরের কম হতো, তাহলে তিনি দেশের পক্ষে একজন খেলোয়াড় হিসেবে এবারের অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতেন । এই বয়সে পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে আমুনুগামা বলেন, তিনি এবারের অলিম্পিক গেমস অবশ্যই উপভোগ করবেন। বিশেষ করে পুরুষ ও নারী এক শ ফাইনল তিনি খুবই ইচ্ছা করে দেখতে চান। কারণ , ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিক গেমসে শ্রীলংকার স্বল্প পাল্লার দৌঁড়ের বিখ্যাত খেলোয়াড় সুসানথিকা জায়াসিংহ নারী ২ শ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রৌপ্যপদক পেয়েছিলেন। এভাবে অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে তিনি শ্রীলংকার পক্ষ্যে প্রথম পদক পান।
তিনি বলেন, অলিম্পিক গেমসের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চীন একটি শক্তিশালী দেশ। বিশেষ করে ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিক গেমসে চীন মোট ৩২টি স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। যা রাশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল । অলিম্পিক গেমসের স্বাগতিক দেশ হিসেবে চীন নিশ্চয়ভাবে এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে আরও বেশি চমত্কার সফলতা অর্জন করতে পারবে বলে আমুনুগামা আস্থাবান। তিনি বলেন:" আমি আশা করি, স্বাগতিক দেশ হিসেবে চীন এবারের পেইচিং অলিম্পিক গেমসে বেশি পদক অর্জন করতে পারবে । ১৩০ কোটি চীনা মানুষ উত্সাহে চীনা খেলোয়াড়রা নিশ্চয় নিজেদের দক্ষতা পপ্রদর্শনে সক্ষম হবেন।"--ওয়াং হাইমান 1 2
|