এক দিনব্যাপী প্রথম ভূমধ্য সাগরীয় শীর্ষ সম্মেলন যৌথ বিবৃতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে ১৩ জুলাই প্যারিসে শেষ হয়েছে। সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে " " ভূমধ্য সাগর ইউনিয়ান পরিকল্পনা" বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্মেলের পর একটি সংবাদ সম্মেলনে এবারের সম্মেলনের অন্যতম চেয়ারম্যান , ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারর্কাজি এ খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারীরা সর্বসম্মতভাবে যৌথ বিবৃতি অনুমোদন করেছেন। সম্মেলনে সিদদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে , ভবিষ্যতে দু'বছর পর পর এক বার করে ভূমধ্য সাগর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, প্রতি বছর এক বার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে , একটি সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হবে । তিনি বলেন, ভূমধ্য সাগর ইউনিয়ন দুটো চেয়ারম্যান দেশের কাঠামো গৃহণ করবে। ইইউ ও ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলের অংশীদার দেশগুলো পালা করে এই দায়িত্ব পালন করবে।
নিকোলাস সারর্কোজি বলেছেন, ইইউ ও ভূমধ্য সাগর সংলগ্ন দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা " ভূমধ্য সাগর ইউনিয়ন পরিকল্পনা" প্রণয়নের প্রধান লক্ষ্য। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে ভূমধ্য সাগরের দূষণ সংস্কার , ভূমধ্য সাগর বরাবর সড়ক নির্মান , বে সামরিক প্রতিরক্ষা, ভূমধ্য সাগরের সৌরশক্তি পরিকল্পনা, ইইউ-ভূমধ্য সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও ভূমধ্য সাগরের বাণিজিক উন্নয়ন এ ছ'টি সহযোগিতার প্রস্তাব নির্ধারন করা হয়েছে।
ইইউর ২৭টি সদস্য দেশ, আংশিক ভূমধ্য সাগর তীরবর্তী এলাকার দেশগুলো ও কার্তা, মওরিটানিয়া সহ ৪৩টি দেশের নেতারা এবারের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। জাতি সংঘ মহা সচিব বান কি মুন সহ বিশ্ব ও আঞ্চলিক সংস্থার নেতারাও এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও মিসরের প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেছেন।
|