v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-10 15:40:46    
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও-এর জি-৮ কর্মসূচী সফল

cri
 ২০০৮ সালের ৭ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও জাপানের হোক্কাইডোয় অনুষ্ঠিত জি-৮'এর সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতাদের সংলাপ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি হু চিন থাও'র সঙ্গে সফর শেষে দেশে ফেরা পর সংবাদদাতার কাছে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও দু'দিনের মধ্যে প্রায় ২০টি বহুপক্ষীয় সম্মেলন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সাক্ষাত্ কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন। বহু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

    ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বৃহত্ উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে জি-৮'র সংলাপ সম্মেলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় ছাড়াও পরস্পরের অবস্থান সমন্বয় ও সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি খুঁজে বের করে আসছে। যা দক্ষিণ ও উত্তর সহযোগিতা ত্বরান্বিত এবং বিশ্বের সমস্যার সমাধানের জন্য সহায়ক। চলতি বছরের সংলাপ সম্মেলনে প্রধানত বিশ্বের অর্থনীতি, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং খাদ্যশস্য ও জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এসব বিষয় নিয়ে চীনের মতামত ও অবস্থান জানিয়েছেন, চীন সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন এবং ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন।

    ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি প্রসঙ্গে হু চিন থাও টেকসই বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সুশৃঙ্খল আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা, ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা ও কার্যকর বিশ্ব উন্নয়নের ব্যবস্থা নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন। চীন এই প্রথম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নির্মাণের প্রস্তাব দিলো। এতে অর্থনীতির বিশ্বায়নকে পারস্পরিক কল্যাণমূলক পথে উন্নয়নের জন্য চীনের প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটেছে।

    জলবায়ুর পরিবর্তন প্রসঙ্গে হু চিন থাও বলেন, টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে জলবায়ুর সমস্যা সমাধান করা উচিত। তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতি যার যার দায়িত্ব পালন করে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রচেষ্টা চালানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাঠামো চুক্তি ও কিওটো প্রটোকোল মেনে চলা, আলোচনা এগিয়ে নেওয়া ও বাস্তব সহযোগিতা চালানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।

    বর্তমান বিশ্বের খাদ্য মূল্য বৃদ্ধির জটিল কারণ নিয়ে হু চিন থাও তার বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি খাদ্য উত্পাদনের ওপর গুরুত্ব আরোপ, বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নয়ন, বহুমুখী নিয়ন্ত্রণ জোরদার এবং সহায়ক অবস্থা সৃষ্টি করার আহবান জানিয়েছেন। খাদ্য নিরাপত্তা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে চীনের প্রচেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন হু চিন থাও। তিনি বলেন, চীন অব্যাহতভাবে খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক আর্ন্তাতিক সহযোগিতায় অংশ নেবে এবং সাহায্য দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

    জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে হু চিন থাও বলেন, জ্বালানী সম্পদের সরবরাহ ক্ষেত্রে চীন আত্ম নির্ভরশীলতার নীতিতে অটল রয়েছে। তা ছাড়া, চীন উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাশ্রয় করে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী সম্পদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। তিনি আরো বলেন, জ্বালানী সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী সম্পদ ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।

    সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে হু চিন থাও-এর ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উন্নয়নের দিক নির্দেশ করেছে এবং বেশি কিছু স্বীকৃতি পেয়েছে।

   সম্মেলনের সময় হু চিন থাও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো এবং উন্নতদেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ব্যাপক যোগাযোগের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছেন। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি অবশেষে বলেন, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও-এর এবারের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তত্পরতায় বেশি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি চীনের অভ্যন্তরীণ নির্মাণ ও বৈদেশিক সহযোগিতার জন্য সহায়ক হবে। পেইচিং অলিম্পিক গেমস আর এক মাস পর শুরু হবে। এ কারণে বিশ্ব দৃষ্টি এখনো চীনের দিকে। চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন বিশ্বের আরো বেশি সমর্থন পাবে (লিলি)