চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৯ জুলাই জাপানের হোক্কাইডোর টোয়াকোতে পৃথক পৃথকভাবে জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিউ বুশের সঙ্গে বৈঠকের পর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হু চিন থাও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নতুন অগ্রগতি হয়েছে। দু'পক্ষের উর্ধ্বতন নেতাদের এবং বিভিন্ন পর্যায়ের যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হযেছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সুসংবদ্ধ ও উন্নয়ন করা দু'দেশ এবং দু'দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তথা বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা আর সমৃদ্ধির জন্যও এর গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য আছে।
বুশ বলেন, তিনি এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তারা আশা করেন, মার্কিন আর চীনের খেলোয়াড়দের চমত্কার প্রতিযোগিতা উপভোগ্য হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিট্রি মেদভেদেভের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় হু চিন থাও আশা প্রকাশ করেন, দু'পক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমারেখা অতিক্রম করা বুনিয়াদী ব্যবস্থা নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এবং দু'দেশের যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক পণ্যের বাণিজ্য ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির সঙ্গে বৈঠক করার সময় হু চিন থাও উল্লেখ করেন, চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে ঐতিহ্যিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। তিনি আশা করেন, দু'পক্ষ কৌশলগত ও সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিকোণ থেকে চীন ও ফ্রান্সের সম্পর্ক বিবেচনা করে যৌথভাবে বাধাবিঘ্ন দূর করবে এবং দু'দেশের সম্পর্কের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল বিকাশের দিকে এগিয়ে যাবে।
সারকোজি বলেন, চীন হচ্ছে ফ্রান্সের কৌশলগত অংশীদার। ফ্রান্স চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি দ্বিপক্ষীয় এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদিতে চীনের সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি আরো বলেন, তিনি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|