v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-08 17:42:51    
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান বিষয় অর্থনীতি

cri
    উন্নয়নশীল ৮টি দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা গ্রুপ, ডি-৮-এর শীর্ষ সম্মেলন ৮ জুলাই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালাম্পুরে শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে অর্থনীতিই প্রধান বিষয়।

    ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন প্রতি দু'বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরেরটি হলো ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন। এবারের প্রসঙ্গ "উদ্ভাবনী সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেল"। সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন দেশের নেতারা নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় দশ-বছর(২০০৮-২০১৮) মেয়াদী রোডম্যাপ তৈরী করবেন। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট পক্ষ একটি স্থায়ী সচিবালয় স্থাপনা এবং বিশ্ব জ্বালানি সম্পদ ও খাদ্য মূল্য নিয়ে আলোচনা করবে।

    প্রথমত, সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে ডি-৮এর শুল্ক সুবিধা চুক্তি গৃহীত হবে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইস ইয়াতিম ৬ জুলাই ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে বলেন, অংশগ্রহণকারীরা ডি-৮এর নিজের পদ্ধতিতে উদ্ভাবনী সহযোগিতার মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি করবে। ২০০৫ সালে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সুবিধাজনক শুল্ক চুক্তি'র বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল। ২০০৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালী দ্বীপে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে এই চুক্তি স্বাক্ষিত হয়। কিন্তু কিছু সদস্য দেশ এই চুক্তি'র "রুলস অফ অরিজিন" নিয়ে একমত হতে না পারায় এই চুক্তি চালু হয়নি। এখন শুধু মালয়েশিয়া ও ইরানে এই চুক্তি গৃহীত হয়েছে। তবে ৪টি সদস্য দেশের অনুমোদন পেলে চুক্তি চালু করা সম্ভব হবে। এখন ডি-৮এর সদস্য দেশের বাণিজ্য কর্মকর্তারা এই চুক্তি'র "রুলস অফ অরিজিন" নিয়ে আলোচনা করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের অভিন্ন আশা হচ্ছে এবারের সম্মেলনে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে, যাতে সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য ত্বরান্বিত করা যায়।

    দ্বিতীয়ত, সম্মেলনে সদস্য দেশের অর্থনীতি ত্বরান্বিত করার জন্য নতুন অর্থনৈতিক সহযোগিতার রোডম্যাপ তৈরী করা হবে। বর্তমানে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য মূল্য ১৯৯৯ সালের ১৪.৫ বিলিয়ন থেকে ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় দশ বছরের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী দশ বছরের মধ্যে বাণিজ্য আদানপ্রদানের প্রবৃদ্ধি হার ৫ শতাংশ থেকে ১৫ ও ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।

    তৃতীয়ত, সহযোগিতা জোরদার করে জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি সমস্যা মোকাবেলা করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেল ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। ২৫ জুন মালয়েশিয়ায় গ্যাসলিন ও ডিজেলের দাম ৪১শতংশ ও ৬৩.৩শতাংশ বেড়েছে। এই সংকটে দেশব্যাপী বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২৪ মে ইন্দোনেশিয়া সরকার তেলের দাম ২৮.৭ শতাংশ বাড়ায়। এতে তেলে ভর্তুকি কমানো গেলেও সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া খাদ্যসশ্যের দাম বৃদ্ধি এবং খাদ্য ঘাটতির সমস্যাও দিন দিন গুরুতর হয়ে উঠছে। ডি-৮এর প্রধান খাদ্য উত্পাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্যের উত্পাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতি'র নতুন সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

    তাছাড়া, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। ইসলামী শিল্প উন্নয়ন নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। জানা গেছে, বিশ্ব বাজারে ইসলামী পণ্যদ্রব্য এবং পরিসেবার বড় সম্ভাবনা রয়েছে, যার মূল্য ৪২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    উন্নয়নশীল ৮টি দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা গ্রুপ ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ, মিশর, ইরান,মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্ক এই ৮টি ইসলামী উন্নয়নশীল দেশ হল এই গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপ প্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য হল ইসলামী উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা। যাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে ইসলামী দেশগুলো আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। (ইয়াং ওয়েই মিং)