v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-07 15:51:48    
উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভারতের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে

cri
   ৬ জুলাই ভারত সরকারের একটি অর্থনৈতিক তথ্য থেকে জানা গেছে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার ১১.৬৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সূচক ১২ শতাংশে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পাশাপাপশি খাদ্য জ্বালানি সহ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নতুন করে বাড়ার আশংকাও রয়েছে। এখন শুনুন নয়া দিল্লি থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতা হু ওয়ে মিনের লেখা একটি প্রতিবেদন ।

   এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সূচক ছিল ৪.১১ শতাংশ। কিন্তু জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সূচক বেড়ে ১১.০৫ শতাংশে দায়ড়ায় । কিছু দিন পর বৃদ্ধির সূচক সর্বোচ্চ ১১.৪৩ শতাংশ উন্নীত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ভারতের মূদ্রাস্ফিতির হার গত ১৬ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায় অতিক্রম করেছে। বতর্মানে খাদ্য, শাকসবজি , ভোজ্যতেল ও জ্বালানি সহ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে মূল্য বৃদ্ধিও দেখা দিয়েছে। উপরন্তু , বতর্মানে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৪০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে । সুতরাং বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ হলো , ভারত ভিয়েতনামের মতো মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক ও আর্থিক দুর্দশায় পড়ে যেতে পারে।

    কিন্তু ভারত সরকার ও সেখারকার অর্থনৈতিক মহলের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ এই ধারণার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলুওয়ালিয়া বলেছেন, অল্প সময়ের জন্য দ্রব্যমূল্য ব্যাপক বাড়লেও ভারত আগের নির্দিষ্ট ৯ শতাংশ বার্ষিক অর্থনীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পরির্বতন করবে না। ভারতের মৌলিক অর্থনীতির অবস্থার অবনতি ঘটেনি। মার্কিন ডলার দ্রুত মূল্যহ্রাসজনিত বিশ্বজুড়ে অশোধিত তেল ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ভারতে দ্রব্যমূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।

    গত শতাব্দীর ৯০ দশকের শেষ দিক থেকে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি শুরু হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতির বৃদ্ধি হার গড়ে ৯ শতাংশ পৌঁছেছে। গত বছর ভারতের জি ডি পি ছিলএক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার । এখন পযর্ন্ত ভারতের অর্থীতিতে কোনো বড় অসুবিধা দেখা দেয়নি। কিছু দিন আগে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ভারত সরকারের প্রধান অর্থনীতি উপদেষ্টা ভিয়ামানি বলেছেন, বর্তামনের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কেবল বিশ্ব বাজারের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির নিবিড় যোগাযোগের পরিণাম । বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি আপনাআপনি ভারতের বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত সরকার অব্যাহতভাবে সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নেবে। আগামী বছরের প্রথম দিকে ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাত্রা ৫ থেকে ৬ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ করা হবে আশা করা হচ্ছে।

     তবে এখন পযর্ন্ত, এ ক্ষেত্রে ভাবত যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে কোনো বড় সাফল্য আসে নি।

    বিশ্লেষরা মনে করেন, ভারতের ৭০ শতাংশ তেল সরবরাহ বিশ্ব বাজারের ওপর নির্ভর করে থাকে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি ভারতের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজারের ওপর আঘাত এড়ানো যায় নি। ভারতের প্রচার মাধ্যমে বলা হয়, নয়া দিল্লিতে প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার করে গাড়ী বাড়ছে । যার ফলে এক দিকে পরিবেশ গুরুতরভাবে দূষিত হয়, অন্য দিকে ভারতের তেল সরবরাহের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করা জন্য কোনো বিকল্প নেই । বতর্মানে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৪০ মার্কিন ডলারেরও বেশী। গত কয়েক মাসে ভারতের বিভিন্ন ধরনের তেলের দাম গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেছেয়ে। সুতরাং খাদ্যের তুলনায় ভারতীয় সমাজের ওপর তেল দাম বৃদ্ধির প্রভাব সম্ভাবত আরও বেশী।

     ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিং ৬ জুলাই নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, আসন্ন জি ৮ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন দেশের নেতাদেরকে তেলের উচ্চ দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।