২০০৮ সালে থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চীনা অর্থাত্ হান ভাষা ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃস্থানীয় কার্যালয় থাইল্যান্ডে ৮৭০জন চীনা ভাষার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক পাঠিয়েছে। থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাদাম চারুয়াইপন তোরানিন চীনা সেচ্ছাসেবকদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন,(১)
চীনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রাজনীতি ও শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। থাইল্যান্ডের মানুষের চীনা ভাষা জানা ও বোঝার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার মধ্যে ছিল। বর্তমানে থাইল্যান্ডে ইংরেজীর পরই চীনা ভাষা দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশী ভাষায় পরিণত হয়েছে। থাইল্যান্ডের কোন কোন স্কুল চেষ্টা চালিয়ে চীনা ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করে। কারণ চীনা শিক্ষক চীনা ভাষা শেখালে ছাত্র-ছাত্রীরা আরো দ্রুত ও ভালোভাবে শিখতে পারে। থাইল্যান্ডে বহু স্কুলে চীনা ভাষার শিক্ষকের অভাবের কারণে সেখানে চীনা ভাষা শিক্ষায় সাহায্য করার জন্য চীন থেকে চীনা ভাষার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদেরকে পাঠায়। এটি থাইল্যান্ডে ভাষা শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চীনা ভাষার সেচ্ছাসেবক শিক্ষকদেরকে থাইল্যান্ডে পাঠানো সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত হান ভাষা চীন সরকারের নেতৃস্থানীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মা চিয়ান ফেই বলেছেন, (২)
এবার আমরা আট শোরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক পাঠিয়েছে। এটি কেবল চীন ও থাইল্যান্ডের শিক্ষা বিনিময় ও সহযোগিতার ইতিহাসের বৃহত্তম প্রকল্প তাই নয়, বরং চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা বিনিময় ও সহযোগিতা ইতিহাসের বৃহত্তম প্রকল্প। এ সহযোগিতামূলক প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য থাইল্যান্ড ও চীনের সরকার ও জনগণ ব্যাপক চেষ্টা করেছে। হান ভাষা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃস্থানীয় কার্যালয় থাইল্যান্ডে চীনের দূতাবাসের সঙ্গে সে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীনা ভাষা শিক্ষা ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করবে।
সোমচাই পিসালপাতনাকিত হলেন পূর্ব থাইল্যান্ডের চোন বুরি পাত্তায়া সওয়াং বোরিবুং ওয়িত্তায়া স্কুলের উপাচার্যের সহকারী। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাগতিক স্কুলের প্রতিনিধি হিসেবে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, চার বছর আগে তাঁর স্কুল থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে চীনা ভাষার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকরা স্কুলে শিক্ষাদান শুরু করেন। এ পর্যন্ত সাতজন স্বেচ্ছাসেবক স্কুলে শিক্ষাদান করেছেন। তারা স্কুলের চীনা ভাষা শিক্ষাদান ত্বরান্বিত করার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। তিনি বলেন,(৩)
আমাদের স্কুলের চীনা ভাষার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক পাওয়া খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার। স্বেচ্ছাসেবকরা স্কুলের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে শিক্ষাদান করছেন। পিতা ও মাতা এবং স্কুলের পরিচালনা কমিটি এর খুব প্রশংসা করেছে।
ইয়াং চিউ চিয়ান থাইল্যান্ডে চীনা ভাষার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, (৪)
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমি শিক্ষাদানের প্রক্রিয়ায় খুব আনন্দিত। বিশেষ করে, আমার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেশি আনন্দ পেয়েছি। কারণ তাদেরকে শিক্ষাদানের পাশাপাশি আমি উপলব্ধি করেছি যে, তারা চীনের ব্যাপারে আগ্রহী এবং তাদের চীনা ভাষা শিক্ষার ইচ্ছা খুব আন্তরিক। তবে থাইল্যান্ড চীনের সংস্কৃতি ও চীনা ভাষা শিক্ষক অভাবের কারণে বেশ অসুবিধায় রয়েছে। আমি আশা করি, আরো বেশি স্বেচ্ছাসেবক চীনা ভাষা শিক্ষাদানের কাজে যোগ দেবেন, যাতে আরো বেশি থাই ছাত্র-ছাত্রীকে চীনা ভাষা শিক্ষায় সাহায্য করা যায়।
জানা গেছে, চীন ও থাইল্যান্ডের সহযোগিতায় ২০০৩ সালে চীনা ভাষার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক প্রকল্প চালু হবার পর থাইল্যান্ডে চীনা ভাষা শিক্ষাদান সমর্থনের জন্য হান ভাষা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃস্থানীয় কার্যালয়থাইল্যান্ডে সাত দফার মোট দু'হাজার দু'শো ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক পাঠিয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবক থাইল্যান্ডের চীনা ভাষা শিক্ষাদানের একটি অতিরিক্ত শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
|