বিশ্বজুড়ে তেল সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কায়নিউইয়র্ক ও লন্ডনের অশোধিত তেলের ফিউচাসের দাম ১ জুলাই রেকড সৃষ্টির পর ২ জুলাই আরেক দফা বেড়েছে। তেলের দাম স্থিতিশীল করার জন্য ওপেক বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে বিশ্ব জ্বালানী বাজারে ফটকাবাজি ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছে।
২ জুলাই নিউইয়ক পণ্য বিনিময় কেন্দ্রে আগ্যস্ট মাসের হাল্কা তেলের ফিউচারসের দাম ২.৬০ মার্কিন ডলার বেড়ে প্রতি ব্যারেল ১৪৩.৫৭ মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ সমাপনী রেকড সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া, বাজার সমাপনীর পর ইলেকট্রোনিক বিনিময়ে এক পর্যায়ে প্রতি ব্যারেল ১৪৪ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। লন্ডন আন্তর্জাতিক তেল বিনিময় কেন্দ্রে আগষ্ট দেয়া উত্তর সাগর ব্রেন্ট অশোধিত তেলের ফিউচারনের দাম প্রতি ব্যারেল ১৪৪.২৬ মার্কিন ডলারে কেনা হয় যা আগের বিনিময়ের চেয়ে ৩.৫৯ মার্কিন ডলার বেশী।
ওপেকের মহা সচিব আবদাল্লা সালেম আ-বাদ্রি ২ জুলাই মাদ্রিতে অনুষ্ঠিত ১৯তম বিশ্ব তেল সম্মেলনে বলেছেন, ওপেক মনে করে, বিশ্ব বাজরে তেলের দাম বাড়ার আসল কারন অশোধিত তেল সরবরাহের ঘাটতি নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের গৌন ঋণ সংকট ও মার্কিন ডলার মূল্যহ্রাসজনিত আর্থিক ফটকাবাজি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একটানা উচ্চ মূল্যে বহাল-থাকা বিশ্ব বাজারের তেলের দাম স্থিতিশীল করার জন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে বিশ্ব জ্বালানী বাজারের ফটকাবাজি ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এ দিন ইরানের তেল মন্ত্রী গোলাম হোসাইম নাজারি মাদ্রিতে বলেছেন, দিনে ৫৩ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৪ সালে ইরানের দৈনিক তেলের উত্পাদনের পরিমান ২২ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, ইরান সরকার মনে করে, বতর্মানে বিশ্ব বাজারে তেলের উচ্চ দামের প্রধান কারণ হল বাজারের ফটকাবাজি ,সরবরাহের ঘাটতি নয়।
|