ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের চেয়ারম্যান হোসে ম্যানুয়েল বারোসো ১ জুলাই প্যারিসে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের লিসবন চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন দেশ এই চুক্তির অনুমোদন দেওয়ার পর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সেদেশের গণভোটে চুক্তি নাকচ হওয়ার সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লেচ কেসিনস্কি ১ জুলাই এমুহূর্তে লিসবন চুক্তি স্বাক্ষর না করার কথা ঘোষণা করেছেন। কারণ এখনো পর্যন্ত এই চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল দেশের স্বীকৃতি পায়নি। বারোসো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সরকার আলোচনার মাধ্যমে লিসবন চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করেছে। আয়ারল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের মাধ্যমে এই চুক্তি অনুমোদন পেতে হবে। তাছাড়াও, অন্যান্য দেশ পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া, এটি যে কোনো দেশের সত্ততার সঙ্গে জড়িত। সংশ্লিষ্ট সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নোকোলাস সারকোজি ১ জুলাই প্যারিসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের সকল সদ্যসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত কর্ম সম্মেলনে বলেন, কেসিনস্কি ব্রাসেলসে এবং লিসবনে দু'বার লিসবন চুক্তির সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি, তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন। (লিলি)
|