v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-01 18:37:24    
তিব্বত দেশবিদেশের পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে

cri
     এ বছরের ১৪ই মার্চ চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসায় ভাংচুর , লুটপাট , মারধর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার পর দেশ বিদেশের পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় সরকার সাময়িকভাবে লাসায় পর্যটন বন্ধ করে দিয়েছিল । সেদিনের নাশকতামূলক ঘটনায় নষ্ট হওয়া অবকাঠামো ও গণ সেবা ব্যবস্থাগুলোর মেরামত ও পুনর্নিমান করা হয়েছে । সম্প্রতি তিব্বতে দেশ বিদেশের পর্যটকদেরকে আবারো স্বাগত জানানো শুরু হয়েছে ।

    তিব্বতে হংকং ও ম্যাকাওসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের ভ্রমণ আবার শুরুর পর পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে । ২০ জুন পর্যন্ত ১৬০টি পর্যটক দল তিব্বত ভ্রমণ করেছে । দক্ষিণ চীনের কুয়াং চৌ শহরের পর্যটক চি লিন বলেন , তিব্বতের প্রাকৃতিক দৃশ্য সুন্দর , সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোর স্থাপত্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি । বিশেষ করে পুতালা ভবন ও তা চাও মন্দির চত্বরের রাত্রের দৃশ্য আমি কখনো ভুলতে পারবো না । আমরা তিব্বতীদের বাড়িতে গিয়েছি । এবারের লাসা ভ্রমণে আমি সত্যিই খুব খুশি । পরে আমি সান নান , লেক নামটসো ও শিগাটসে যাবো ।

    দেশের পর্যটকদের তিব্বত ভ্রমণ পুনরুদ্ধারের পর চীন সরকার ২৫শে জুন থেকে বিদেশী পর্যটকদের জন্যও তিব্বত পুরনায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । ২৭শে জুন সকালে ২৮ সদস্যের একটি মার্কিন পর্যটক দল তাদের তিব্বত যাত্রা শুরু করে । যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকরা লাসা শহরের বিখ্যাত জোকহাং মন্দির ও পুরনো শহরাঞ্চলের পা খুও সড়ক পরিদর্শন করেন এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যিক হাসপাতালের থান খা প্র্রদর্শনী কক্ষ পরিদর্শন করেন ।এ দলের একজন পর্যটক বলেছেন , আমরা তিব্বতে মাত্র কয়েক দিন ছিলাম । তবে আমি মনে করি তিব্বতের অবস্থা আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক ভালো । সেখানকার দৃশ্য খুব সুন্দর , মানুষ ভালো , এটা আমার মনে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে । আমি তিব্বতের সংস্কৃতি , রীতিনীতি ও ইতিহাস জানতে আগ্রহী , আমরা নিরাপত্তার জন্য বেশী চিন্তা করি না ।

    গ্রীষ্মকাল হলো তিব্বতের সবচেয়ে ভালো ঋতু । এ ঋতুতে তিব্বতে আসা পর্যটকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । তিব্বতের শোটন উত্সব , নাছু ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও তিব্বতের তৃতীয় নামটসো উত্সবের সময় আরো বেশি পর্যটক তিব্বতে যাবেন । লাসা শহরের পর্যটন কোম্পানির কর্মী উ সিয়াও হোং বলেন , এপ্রিল মাস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটক তিব্বত আসতে শুরু করেন । পর্যটকরা তিব্বত ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন । বিদেশী পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য আমরা নানা ধরনের প্রস্তুতির কাজ করেছি । ১৪ই মার্চের ঘটনার কারণে জার্মানীর একটি দল ও তাইওয়ানের কয়েকটি দল তিব্বত আসতে পারে নি । আমরা এখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের বলেছি , তিব্বতে ভ্রমন নিরাপদ । আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি ।

     ১৪ মার্চের ঘটনার কারণে তিব্বতের পর্যটন শিল্প এক সময় ব্যাহত হলেও সরকারের সমর্থন ও সাহায্যে তিব্বতের সামাজিক স্থিতিশীলতা পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন অবকাঠামো ব্যবস্থা ও গণ সেবা ব্যবস্থা যথাসময়ে মেরামত করা হয়েছে । তিব্বতের পর্যটন ব্যুরোর উপপ্রধান টানোর বলেন , তিব্বতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে , বাজারের কেনা বেচা ঠিক মত চলছে । আমরা বিদেশের ও দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই । আমরা পরিসেবার মান আরো উন্নত করার চেষ্টা করছি ।