v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-07-01 17:54:44    
জাপানী বন্ধু কোবোরি শোগোর চীনা জীবন

cri

    আজকে আমাদের ভিন দেশির চোখে অনুষ্ঠানের প্রধান চরিত্র হলেন জাপানী একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক কোবোরি শোগো। তিনি চীনে আট বছর ধরে কাজ করছেন ।

    ৬০ বছর বয়সী কোবোরি সংবাদদাতাকে দেখে চীনা ভাষায় শ্রোতা বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । তার চীনা ভাষার উচ্চারণ ততটা ভালো না হলেও তাতে বন্ধুত্বের উষ্ণতা আছে ।

    ৬০ বছর চীনে পুরুষদের অবসর নেয়ার বয়স । তবে লিট্টল জায়ান্ট মেশিনারি কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কোবোরি এখনোও কাজ করছেন । তার কোম্পানী পশ্চিম চীনের নিং সিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী ইন ছুয়ান শহরে অবস্থিত । এটি জাপানের ইয়ামাজাকি মাজাক কোম্পানীর বিনিয়োগে একটি মেশিন   উত্পাদন কোম্পানী । আট বছর আগে মাজাক কোম্পানী কোবোরিকে চীনে পাঠায় । তিনি লিট্টল জায়ান্ট কোম্পানীর প্রস্তুতিমূলক প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন । কোবোরি মেশিন উত্পাদন শিল্পে ৪০ বছর ধরে কাজ করেন । তিনি বলেন :

    লিট্টল জায়ান্ট কোম্পানীতে আমি সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছি । চীনে আসার আগে জাপানে আমি প্রধানত অর্থ ছাড়া অন্যান্য কাজের দায়িত্ব পালন করেছি । প্রযুক্তি পরিচালক হিসেবে বলা যায় আমি মাকাজ কোম্পানীর সবচেয়ে প্রবীন কর্মী ।

    জাপানের ইয়ামাজাকি মাজাক কোম্পানী হল বিশ্বের বিখ্যাত একটি মেশিন উত্পাদনকারী কোম্পানী । আট বছর আগে চীনের প্রযুক্তির প্রতি আস্থা এবং পুঁজি বিনিয়োগের পরিবেশের কারণে কোম্পানীটি নিং সিয়ায় শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় । কোবোরি জানিয়েছেন , লিট্টল জায়ান্ট কোম্পানীতে জাপান কোম্পানীর পুঁজি বিনিয়োগ বেড়েই চলেছে । এর পাশাপাশি চীনের অন্যান্য অঞ্চলে জাপানী কোম্পানীর পুঁজি বিনিয়োগও বাড়বে । তিনি বলেন :

    ২০০৫ , ২০০৬ ও ২০০৭ সালে লিট্টল জায়ান্ট কোম্পানী তিন বার সম্পসারিত হয়েছে । এসব প্রকল্প শেষ হওয়ার পর পুঁজি বিনিয়োগও বাড়বে । মাজাক কোম্পানী ২০০৮ সালের ২৩ জানুয়ারী সাংহাইয়ে একটি প্রযুক্তি প্রদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করেছে । এসব পুঁজি বিনিয়োগ মাজাক কোম্পানী এবং লিট্টল জায়ান্ট কোম্পানীর বার্ষিক চাহিদা অনুযায়ী চলছে । আমার বিশ্বাস , ভবিষ্যতে এ ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ অব্যাহতভাবে থাকবে ।

    কোবোরি মনে করেন , মাজাকসহ আন্তঃদেশিয় কোম্পানী পৃথক পৃথকভাবে চীনের পুঁজি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে , এর প্রধান কারণ হল চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীল ও টেকসই বৃদ্ধিতে তাদের আস্থা । তিনি বলেন :

    আমার বিশ্বাস , চীনে বিদেশের পুঁজি বিনিয়োগ আর বাড়বে । এর পাশাপাশি চীনের বাজারের প্রতি সবার আস্থাও বাড়বে । বিশ্বে একামত্র চীনই উন্নয়নের দ্রুত গতি বজায় রাখতে পারে । আমার মনে হয় ভবিষ্যত্ অন্ধকার নয় , বরং তা খুবই উজ্জ্বল ।

    চীনের আট বছরে কোবোরি নিজ চোখে দেখেছেন চীনের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনের উন্নয়ন । কোম্পানীর চীনা কর্মীদের জীবনযাপনের মানের উন্নয়ন তিনি উপভোগ করেছেন । তিনি বলেন :

    আমার লিট্টল জায়ান্ট কোম্পানীর কর্মীদের জীপনযাপনের পরিবেশ থেকে বোঝা যায় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক উন্নত হয়েছে । যেমন আমাদের কর্মী বিয়ে করতে চাইলে তারা নিজেরাই বাড়িঘর কিনতে পারবে এবং বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোম্পানীর দ্রুত উন্নতি হচ্ছে , কর্মীদের আয়ও বাড়ছে ।

    আট বছরে কোবোরি চীনের সব কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন । তিনি কোম্পানীর অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন । কাজ শেষে সাধারণ চীনাদের মত নিজেই রান্ন করেন , ঘরটি পরিস্কার করেন । সাপ্তাহিক ছুটিতে তিনি শপিং মলে কেনাকাটা করেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন । তার কাছে চীন ও জাপানের জীবনের বেশি পার্থক্য নেই । তিনি বলেন :

    জপানে থাকা এবং ইন ছুয়ান শহরে থাকার মধ্যে বেশি পার্থক্য নেই । জাপানে আত্মীয়স্বজনরা আমার যত্ন নেন । তবে এখানে আমার অনেক কর্মী আমার সঙ্গে আছে । সবার সম্পর্ক খুব ভালো । তারা যেন স্বজনের মত আমাকে সাহায্য করেন ।

    কোবোরি তার বর্তমান জীবন ও কাজ নিয়ে খুব সন্তুষ্ট । তিনি সংবাদদাতাকে বলেন , তার দু'টি স্বপ্ন আগামী বছরগুলোতে পুরণ হলে আরো ভালো হবে । তার প্রথম স্বপ্ন হল , শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে তার কোম্পানীর সুষ্ঠ উন্নয়ন ।

    তার আরেকটি স্বপ্ন হলো ভাবিষ্যতে চীন ও জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় আরো ঘনিষ্ঠ এবং আরো সুষ্ঠু হওয়া । বিশেষ করে ভিসা ক্ষেত্রে আরো উন্মুক্ত নীতি চালু হওয়া । তিনি বলেন :

    আমার মনে হয় পেইচিং অলিম্পিক গেমস আয়োজনকালে ভিসা সমস্যা কমে যাবে । ২০০৬ সালে জাপানীরা চীনে আসতে চাইলে ভিসা আবেদন করতে হতো । তবে ২০০৭ সালে কিছু শহর এ ক্ষেত্রে উন্মুক্ত হয়েছে । যেমন সাংহাই এবং কুয়াং চৌতে যেতে ভিসা লাগে না । আমি বিশ্বাস করি , অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চীন ও জাপানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময়ও আরো সুষ্ঠু হবে ।