v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-30 19:57:38    
পেইচিং অলিম্পিক গেমস সবচেয়ে সফল অলিম্পিক হবে : পার্ক

cri

     পার্ক  ইয়ং-দাই-এর কার্যালয় পেইচিং ছাও ইয়াং জেলার কুয়াং হুয়া রোডের একটি ভবনে অবস্থিত। এটি চীনা জনগণের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে প্রচারের একটি জানালা। অর্থাত্ এটাই দক্ষিণ কোরীয় সাংস্কৃতিক সার্ভিস।

    ১৯৬৪ সালে টোকিও এবং ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিক গেমসের পর ২০০৮ সালের পেইচিং অলিম্পিক গেমস হচ্ছে তৃতীয় বারের মতো এশীয় কোনো দেশে আয়োজিত হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমস। পার্ক ইয়ং-দাই মনে করেন, বিশ্বের অর্ধেক জন অধ্যুষিত এশিয়া দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। নানা ধরণের আঞ্চলিক বিনিময় ও সহযোগিতাও জোরদার হচ্ছে। চীনা জনগণের আত্মবিশ্বাস ও ক্ষমতা এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অভিজ্ঞতা পেইচিং অলিম্পিক গেমসকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এবং আকর্ষণীয় একটি অলিম্পিকের রূপ দিতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার অনেক দেশের এতে কোনো সন্দেহ নেই। পার্ক ইয়ং-দাই বলেন,

    আমাদের বিশ্বে মোট ৭০০ কোটি লোক বসবাস করেন। কিন্তু সকলের স্বীকৃতি পাওয়া এবং মেনে নেওয়ার রীতি অভিন্ন নয়। বিশ্ব মঞ্চে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়াদেরকে যার যার নৈপুণ্য প্রদর্শন করার জন্য আমরা ক্রীড়া ক্ষেত্রে সকলের গ্রহণযোগ্য একটি রীতি প্রবর্তন করেছি। অলিম্পিক গেমস হচ্ছে একটি ক্রীড়া মহা সম্মিলনী।

    চার বছর পর পর অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বর্ণ, ভাষা ও সম্প্রদায়ের জনগণ অলিম্পিকের "আরো উঁচু মানের, দ্রুতলীয়ের ও শক্তিশালী" চেতনা ধরে আসা আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

    ২০০১ সালে সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক আবেদনের পর অলিম্পিকের চেতনার অনুপ্রেরণায় অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশী-বিদেশী জনগণ পেইচিং অলিম্পিক গেমস নিয়ে আশাবাদী। পারক ইয়ং-দাই ইতোমধ্যেই পেইচিংয়ে দু'বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি কাজ এবং পেইচিংয়ে অধিবাসীদের ওপর আসন্ন অলিম্পিক গেমসের প্রভাব সম্পর্কে তঁর নিজের বিশেষ অনুভূতি রয়েছে। তিনি বলেন,

    আমার মনে হয়, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি কাজ খুব সুষ্ঠুভাবে চলছে। রাস্তায় গিয়ে পেইচিংয়ের অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বললে এটি গভীরভাবে অনুভব করা যায়।

    চীনে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা হিসেবে পারক ইয়ং-দাই দু'দেশের সংস্কৃতি, শিল্প, ক্রীড়া, পর্যটন, ধর্ম এবং তরুণতরুণীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় কাজের দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাদার কূটনীতিকের চেয়েও তিনি একজন বিশেষজ্ঞ ও পন্ডিত। পেইচিং অলিম্পিক গেমসে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া প্রতিনিধি দলের দক্ষতা সম্পর্কে তিনি আস্থাশীল। তিনি বলেন,

    দক্ষিণ কোরীয় জনগণ ক্রীড়া খুব পছন্দ করে। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং খেলোয়াড়রা আরো ভালো ফলাফলের চেষ্টা করছে। এবারের অলিম্পিক গেমস আমাদের সুপ্রতিবেশী পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমি বিশ্বাস করি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল অবশ্যই ভালো করবে।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ক্রীড়া শিল্প উন্নয়ন, ক্রীড়া-নৈপুণ্য বাড়ানো, ক্রীড়া প্রযুক্তিবিদদেরকে প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক বিনিময় সম্প্রসারণের চেষ্টা করে আসছে।

    পার্ক ইয়ং-দাই রসিকতা করে বলেন, প্রতিটি অলিম্পিক গেমসের সময় তাঁর চোখ লাল থাকে। কারণ তিনি সারা রাত না ঘুমিয়ে প্রতিযোগিতা দেখেন। অন্য দিকে খেলোয়াড়দের ক্রীড়া চেতনা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। অনেক প্রতিযোগিতার মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ফুটবল প্রতিযোগিতা। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ফুটবল দল বিশ্ব কাপের প্রথম চারে স্থান পেয়েছে। এবারের অলিম্পিক গেমসে পারক ইয়ং-দাই দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল দল নিয়ে প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন,

    আমি তথ্য-মাধ্যমসহ অনেকের কাছে বলেছি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের কাছে আমার সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা হলো আমাদের ফুটবল দলকে ফাইনালে এবং পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান সভাকক্ষে দেখা।

    ২০০৮ সালের ৮ আগষ্ট ২৯ তম অলিম্পিক গেমস বার্ড নেস্ট স্টেডিয়ামে শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বরাবরই খুব গুরুত্বপূর্ণ। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে পারক ইয়ং-দাই মনে করেন, সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিষয় হলো পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে চীনের সংস্কৃতির মিলন। তিনি বলেন,

    আসলে অলিম্পিক গেমসসহ চীনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে চীনের সংস্কৃতির প্রভাব থাকে এবং এতে চীনের অনেক সাংস্কৃতিক উপাদান মিশিয়ে দেওয়া হয়। আমি মনে করি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতির প্রতি চীনা জনগণের ভালোবাসা এবং বিশ্ব জনগণের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সম্প্রীতিময় সমাজ নির্মাণের প্রয়াস প্রদর্শিত হলে অনুষ্ঠান সার্থক হবে।

    সাক্ষাত্কার শেষে পারক ইয়ং-দাই চীনা ভাষায় পেইচিং অলিম্পিকের প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন,

    পেইচিং অলিম্পিক গেমসের শুভ কামনা করি, গুত্ত লাক, পেইচিং। ধন্যবাদ। (লিলি)