বর্তমানকালে ইন্টারনেট সংগীত প্রচারের ভূমিকা পালন করছে। অনেক সহজ ও জনপ্রিয় পপ সংগীত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহু নেট-ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। 'বিষাক্ত পার্ফিয়ুম' হচ্ছে ২০০৬ সালে ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি পপ সংগীত। চীনের বহু তরুণতরুণী তা গাইতে পারেন। এই গানের গায়ক হচ্ছেন নবীন শিল্পী হু ইয়াং লিন।
হু ইয়াং লিন ছোট বেলা থেকেই নাচ গানে পারদর্শী। ১৯৯৯ সালে হু ইয়াং লিন হুপেই আর্ট কলেজে ভর্তি হন। তখন থেকে তাঁর সংগীত প্রতিভার উত্সাহব্যঞ্জকভাবে প্রসারিত হতে থাকে। কলেজে তিনি একটি ব্যান্ড দল গঠন করেছেন এবং প্রধান গায়িকা হন। তিনি প্রায়শই কলেজে আয়োজিত নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাঁর গাওয়া 'পোকা' গানটি আর্ট কলেজে জনপ্রিয় এবং তিনি ছাত্রছাত্রীদের আইডলে পরিণত হয়েছেন।
কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর হু ইয়াং লিন পেইচিংয়ে চলে আসেন। ২০০৫ সালে তার জীবনে আকস্মিক একটি সুযোগ আসে। তখন তিনি জনপ্রিয় গান 'ইঁদুর চালকে ভালোবাসে' সুরারোপ করছিলেন। এ সময় পেইচিং থাইগো সংস্কৃতি কোম্পানির প্রধান ওয়াং হু তাঁর কন্ঠ ও সুরারোপের ধারা দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর কিছু দিন পর তাঁর গাওয়া ''বিষাক্ত পার্ফিয়ুম' গানটি বাজারে এলে তা অতি দ্রুত চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের বেতারের পপ সংগীতের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়।
এখন আপনারা হু ইয়াং লিনের গাওয়া ''বিষাক্ত পার্ফিয়ুম' গান শুনছেন। গানের কথা এমনঃ 'তোমার গাঁয়ে তার পার্ফিয়ুমের সুগন্ধ জড়িয়ে আছে। এটা হচ্ছে আমার নাকের ঘ্রাণ শক্তির অপরাধ। তুমি নিখুঁত প্রেম চেয়েছো, কিন্তু আমি তা দিতে পারি নি।'
২০০৬ সালের জুন মাসে হু ইয়াং লিনের প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'বিষাক্ত পার্ফিয়াম' বাজারে আসে। একই নামে 'বিষাক্ত পার্ফিয়ুম' নামের গানটিই এই অ্যালবামের প্রধান গান। তা ছাড়া এই অ্যালবামে আরো সাতটি নতুন গান রয়েছে। এখন আমরা 'হৃদয়ের চাঁদ' নামের নতুন একটি গান শুনবো।
'হৃদয়ের চাঁদ' গানটির সুর সংযোজন সুন্দর ও পরিশীলিত। গানের কথা ঠিক যেন কবিতার মতো। হু ইয়াং লিনের কণ্ঠ নরম প্রকৃতির মতো। তাঁর গান শুনে মনে হয় আমরা মেঘের ওপর দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছি। গানের কথা এমনঃ 'হৃদয়ের চাঁদে সুগন্ধ জড়িয়ে রয়েছে। আমি তোমার সঙ্গে এ সুন্দর জীবনকে উপভোগ করতে চাই। আমরা এক সাথে স্বপ্ন দেখবো। এক সাথে হৃদয়ের চাঁদকে আপন করে নেবো।'
|