চীনের আইন প্রণয়নসংস্থা-- জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির একিটি অধিবেশনে আলোচিত চীনের " রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদখসড়া আইন"কে "রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসম্পদখসড়া আইনে" রূপান্তর করা হবে । খসড়া আইনটির নাম পরিবর্তিত হলেও রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদ হানি রোধ করা এই আইন প্রণয়নের প্রধান লক্ষ্য ।
পরিসংখ্যানে জানা গেছে , ২০০৬ সালের শেষ দিক পর্যন্ত চীনের রাষ্ট্রায়াত্ত ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রণাধীন অনার্থিকশিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্পদের মোট মূল্য ২৯ ট্রিলিয়নরেনমিনপি ছিল । " রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদ আইন" যা নিয়ন্ত্রণ করবে তা হল এই বিরাট রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদ । ১৯৯৩ সালে আইনটি প্রণয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর গত বছরের শেষ দিকে খসড়া আইনটির প্রণয়ন শুরু হয়েছে । গত ৬ মাসে আইন প্রণয়নকমিটি বারবার গবেষণা , আলোচনা এবং নানা পক্ষের মতামত শোনার পর খসড়া আইনটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশের সংশোধন করেছে । এর মধ্যে রয়েছে আইনটির নাম পরিবর্তন । ২৪ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় গন কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির অধিবেশনে জাতীয় গণ কংগ্রেসের আইন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হোং হু ব্যাখ্যা করে বলেন , যে ক্ষেত্রে আইন ব্যবহার করা যায় তার সঙ্গে আরও ভালভাবে সমন্বয় করা আইনটির নাম পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ । রাষ্ট্রায়াত্তশিল্পপ্রতিষ্ঠপন সম্পদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা , রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের মূল্য বজায় রাখা বা মূল্য বৃদ্ধি তরান্বিতকরা খসড়া আইন প্রণয়নের প্রধান কারণ । এখন রাষ্ট্রায়াত্তশিল্পপ্রতিষ্ঠান সম্পদ--এই নাম ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আইনটির নাম" রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান সম্পদ আইন"-এ পরিবর্তন করা ভাল ।
চীনের রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদ তদারকি ব্যবস্থা নির্ধারণ করা আইনটির একটি আকর্ষণীয় বিষয় । খসড়া আইনে নির্ধারিত হয়েছে যে , যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থবিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত সেই শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সরকার রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবে এবং সম্পদের লাভ পাওয়া , গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ব্যবস্থাপনা বেছে নেওয়ার ক্ষমতা ভোগ করতে পারবে । খসড়া আইনটিতে আরও বলা হয়েছে , সরকার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেআলাদা করা , সামাজিক গণ ব্যবস্থার ক্ষমতা ও রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের অর্থবিনিয়োগকারীর দায়িত্বকে আলাদা করা এবং আইন অনুযায়ী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনায় হস্তক্ষেপ না করার নীতি এবং আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পরিষদ ও স্থানীয় গণ সরকারকে নিজের অর্থবিনিযোগকারীর দায়িত্ব পালন করতে হবে । এ সম্পর্কে জাতীয় গণ কংগ্রেসের অর্থ ও অর্থনীতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সি কুয়াংশেন বলেন , এই ব্যবস্থা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষা করা সহ জরুরী সমাধান সাপেক্ষ প্রধান প্রধান সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের তদারকি ব্যবস্থার সংস্কার উন্নত করার পক্ষে সহায়ক হবে । এটা বাস্তব অবস্থার সঙ্গে খাপ খেয়ে যায় ।
আইন কীভাবে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদ হানি রোধ করবে তা ব্যাপক দৃষ্টিআকর্ষণকারীআরেকটি সমস্যা । এ জন্য খসড়া আইনটি তে বেশ কয়েকটি কড়া নিয়মবিধি নির্ধারিত হয়েছে ।
খসড়া আইনটি পর্যালোচনা করার সময়ে জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা যে মতামত ব্যক্ত করেছেন তার বেশির ভাগই রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদ হানি রোধ করা এবং রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের মূল্য বজায় রাখা বা মূল্য বৃদ্ধি তরান্বিতকরণ সংক্রান্ত। জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির বাজেট কমিটির চেয়ারম্যান চু চিকাং বলেন , আইনটি অধিক থেকে অধিক পরিপক্ক হয়েছে । আমি মনে করি , রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পদের মূল্য বজায় রাখা ও মূল্য বাড়ানোর কথা বিবেচনা করাই আইনটি প্রণয়নের প্রধান লক্ষ্য । চুং শাওলি
|