চীন-মার্কিন চতুর্থ কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ স্থানীয় সময় ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী অ্যানাপোলিসে শুরু হয়েছে। চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ছি শান এবং মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা ও অর্থমন্ত্রী হেনরি পলসন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
ওয়াং ছি শান বলেন, বর্তমানের জটিল আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত চীন-মার্কিন চতুর্থ কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপের দু'দেশের কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীরতর করা এবং সম্মিলিতভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। তিনি তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো হলো, সংলাপের প্রতিপাদ্য নিয়ে দু'পক্ষের মতৈক্য বাড়ানো, দূরদৃষ্টি দিয়ে পরস্পরের দেখা এবং সংলাপের ব্যবস্থায় পূর্ণাঙ্গতা এনে পারস্পরিক কৌশলগত আস্থা বাড়ানো।
পলসন বলেন, সংলাপের ব্যবস্থা দু'দেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর। এবারের সংলাপে দু'পক্ষ আর্থিক নীতি, বহুমুখী-অর্থনৈতিক বিষয় এবং তেল ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি মোকাবেলার নীতি নিয়ে আলোচনা করবে।
এবারের সংলাপ প্রসঙ্গে মার্কিন কারনেগি আন্তর্জাতিক শান্তি তহবিলের সিনিয়র গবেষক আলবার্ট কাইডেল বলেন, চীন-মার্কিন কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ দু'দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয়, এই সংলাপ বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আশা এবং একই সঙ্গে বিশ্বাস করেন, একটি প্লাটফর্ম হিসেবে এবারের সংলাপের মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক কল্যাণের দিকে যাবে এবং পারস্পরিক আস্থা বাড়বে।
রয়টার্সের একটি খবর থেকে জানা গেছে, এই সংলাপ ব্যবস্থা থেকে প্রতিফলিত হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে আরো বেশি লাভবান হতে চায়। (লিলি)
|