v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-16 18:05:07    
চীন-যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিক কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ পর্যালোচনা

cri

    চীন-যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ১৭ ও ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের অ্যানাপোলিসে অনুষ্ঠিত হবে। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ছি শান ও মার্কিন অর্থমন্ত্রী হেনরি এম পলসন যৌথভাবে এবারের সংলাপ পরিচালনা করবেন। চীন-যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ আয়োজনের প্রাক্কালে আমরা আগের তিন বারের সংলাপের ফলাফল পর্যালোচনা করবো।

    চীন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ হচ্ছে দু'দেশের বর্তমান সংলাপ প্রক্রিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি সংলাপ। একই সঙ্গে এটি ইতিহাসে দু'দেশের অর্থনৈতিক মহলের শীর্ষ পর্যায়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিনিময় কর্মসূচী। ২০০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তত্কালীন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী উ ঈ এবং মার্কিন অর্থমন্ত্রী পলসন এক যৌথ বিবৃতিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার ঘোষণা দেন। উ ই সে সময় তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, 'আজ আমি আর হেনরি পলসন যৌথভাবে ঘোষণা করছি যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে অর্থনীতির বিশ্বায়ন গভীরতর হওয়া এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক যোগাযোগ দিন দিন ঘনিষ্ঠ হওয়ার নতুন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীশ দেশ আর বৃহত্তম শিল্পোন্নত দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের কৌশলগত সংলাপ।'

    চীন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ প্রতি বছর দু'বার পালাক্রমে দুটি দেশে অনুষ্ঠিত হয়। উ ই ও পলসনের যৌথ পরিচালনায় এ সংলাপ তিন বার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২০০৬ সালের ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর প্রথম চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংলাপে 'চীনের উন্নয়নের পথ ও অর্থনৈতিক বিকাশের কৌশল' প্রসঙ্গ নিয়ে দু'পক্ষ শহর ও গ্রামাঞ্চলের ভারসাম্য উন্নয়ন, চীনের অর্থনীতির টেকসই বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিতকরণ, জ্বালানি, পরিবেশসহ নানা বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা হয়। সংলাপের পর উ ই বলেছিলেন, 'আমি আর হেনরি পলসন এবং চীন ও মার্কিন প্রতিনিধি দলের মন্ত্রীরা একমত হয়েছি যে, প্রথম চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এটা ভবিষ্যতে আমাদের দু'দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং দু'দেশের গঠনমূলক সহযোগিতার সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুকূল হবে।'

    দ্বিতীয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ২০০৭ সালের ২২ ও ২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপের পর পলসন বলেন, 'আজ আমরা পরবর্তী পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, যেমন আর্থিক সেবা শিল্প, জ্বালানি ব্যবহার, পরিবেশ ও বেসামরিক বিমান চলাচলসহ নানা ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছি। এই সংলাপ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আমাদের সহযোগিতাও অব্যাহত হবে।'

    ২০০৭ সালের ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর তৃতীয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দু'পক্ষ 'অর্থনীতির বিশ্বায়নের সুযোগ কাজে লাগানো এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার' প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে। সেই সংলাপে দু'পক্ষ ৩১ দফা মতৈক্যে পৌঁছে এবং সংশ্লিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষর করে। সংলাপের পর চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও পলসনের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেন,

  'সদ্যসমাপ্ত সম্মেলন খুব সফল হয়েছে এবং ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছে। আমি উপ-প্রধানমন্ত্রী উ ই ও অর্থমন্ত্রী পলসনের যোগ্য নেতৃত্ব এবং দু'দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আন্তরিক চেষ্টার প্রশংসা করি ও এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।'

    চীন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ দু'দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। অনেক মতভেদই এড়ানো সম্ভব না হলেও দু'পক্ষ পরস্পরকে সম্মান করার ভিত্তিতে অসংগতি দূর করার চেষ্টা চালিয়েছে। উ ই বলেন, 'চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দ্রুত উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় কিছু অসংগতি ও সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এই অসংগতি ও সমস্যা কেবল সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় আমরা উপলব্ধি করেছি, সংলাপ বৈরিতার চেয়ে ভালো। আলোচনা অভিযোগ ও চাপ দেয়ার চেয়ে ভালো।' (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)