v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-12 20:36:48    
এ মাস ইতিহাসে লেখা থাকবে

cri
    আজ ২০০৮ সালের ১২ জুন । ঠিক এক মাস আগে চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েনছুয়ানে ৮.০ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে । এই ভূমিকম্পে মানুষের জানমালের গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । ১১ জুন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৬৯ হাজার ১৪৬জন মারা গেছে , তিন লাখ ৭০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে ১৭ হাজার । ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্প হওয়ার পর রাশিয়া প্রেসের " চীন, অটল থেকে উঠে দাঁড়াও" শিরোনামে এবটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে , চীন এত বেশি দুঃখ ও কষ্ট পার করার পরও চীন কখনো দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে পড়ে থাকেনি । ভূমিকম্পের এক মাস পর আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে , চীন ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছে । এখন দুর্গত এলাকার সামাজিক শৃঙখলা স্থিতিশীল । দুর্গতদের সুষ্ঠুভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । বাস্তব অনুশীলন থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , চীন আগের মতোই এবারেও দুঃখ-কষ্টেপড়ে যায়নি । চীনে যা ঘটেছে ইতিহাসে তা সবই লিখে রাখা হবে ।

    আমি বিশ্বাস করি , কোনো দুর্যোগ চীনের বীর জনগণকে পরাজিত করতে পারবে না ।"সিছুয়ান প্রদেশের সিফাং জেলার দুর্গতদের সমবেদনা জানানোর এবং ত্রাণ কাজে নিয়োজিতগণ মুক্তি ফৌজের অফিসার ও সৈনিকদের উত্সাহ দেওয়ার সময়ে প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও এ কথা বলেছেন । ভূমিকম্প হওয়ার সাথেসাথে চীন সরকার দ্রুততার সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলার ব্যবস্থা নিয়েছে । রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতরার হোক , দুর্গত এলাকার নিম্ন পর্যায়েরক্যাডাররা হোক সবাই ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন । চীন সরকার যে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়েছে ইতিহাস তা মনে রাখবে ।

    আপনারা যে আওয়াজ শুনছেন তা চীনের বিমানবাহিনীর অফিসার ও সৈনিকরা সিছুয়ান প্রদেশের সিফাং জেলায় জীবিত দুর্গতদের উদ্ধার করার আওয়াজ । ভূমিকম্প হওয়ার পর চীন সরকার লক্ষাধিকগণ মুক্তি ফৌজ , সশস্ত্র পুলিশ এবং গণমিলিশিয়ার সদস্য পাঠিয়েছে । যেখানে বিপদ এবং কষ্ট আছে সেখানেই তাদেরকে দেখা গেছে । তাদের বীরত্ব প্রতিটি মানুষকে মুগ্ধ করেছে । ইতিহাস চীনা সামরিক কর্মীদের অবদান মনে রাখবে ।

    আগে আমি সৈন্যবাহিনীতে ত্রাণ কাজ করতাম । আমার অভিজ্ঞতা আর সৈন্যদের পেশাদার সরঞ্জাম ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমরা অবশ্যই আরও বেশি জীবিত লোককে উদ্ধার করতে পারব । চীনের কুয়াংতুং প্রদেশ থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবক ছেন ইয়েন এ কথা বলেছেন । ভূমিকম্প হওয়ার পর চীনের রেলপথ , সড়কপথ, বেসামরিক বিমান, টেলিযোগাযোগসহ নানা ক্ষেত্র সর্বাধিক শক্তি দিয়ে দুর্গত এলাকাকে সমর্থন করেছে । হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানসহ চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবক, চিকিত্সক, ত্রাণকর্মী এবং সামগ্রী পরিবহনকারীরা দুর্গত এলাকায় এসেছেন । ইতিহাস তাদের নিঃস্বার্থ অবদান কখনোইভূলবে না ।

    আমরা সবাই জানি , ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে কোনো দেশ ও জনগণের পক্ষে এড়ানো সম্ভব নয় । আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্যোগ থেকে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিন্যূন্যতম পরিমানে কমাতে পারব । আমরা চিরকালই আপনাদের পাশে থাকব । রাশিয়ার চিকিত্সা দলের উপনেতা ইভানিউস আলেক্সান্ডার চীন ত্যাগ করার আগে এ কথা বলেছেন । চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একের পর এক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । রাশিয়া , জাপান , দক্ষিণ কোরিয়া ও সিংগগাপুর ত্রাণ দল পাঠিয়েছে । জার্মানী, ফ্রান্স, ইতালি, কিউবা, রাশিয়া ও জাপান চিকিত্সা দল পাঠিয়েছে । তাদের নিঃস্বার্থ সাহায্য ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে । ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিঃস্বার্থ সাহায্য চিরকালই মনে রাখবে ।

    আমরা অবশ্যই নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে আমাদের তু চিয়াংইয়েন শহরকে পুনরায় নির্মাণ করার চেষ্টা করব । সিছুয়ান প্রদেশের তুচিয়াংইয়েন শহরের " স্নেহ ও উষ্ণ পরিবার" নামের পুনর্বাসন এলাকার দুর্গত লোকেরা তাদের বাড়ি পুনরায় গড়ে তোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ কথা বলেছেন । ইতিহাস চীনের দুর্গত এলাকার জনগণের অদম্য ও দৃঢ় মনোবল মনে রাখবে ।

    আমরা বিশ্বাস করি, চীন সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে আমরা ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণকাজের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবই। ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণকাজে চীন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকারিতা, ঐক্য, অদম্য ও পারস্পরিক সাহায্যের ঘটনা ইতিহাসে লেখা থাকবে ।--চুং শাওলি