v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-06 20:52:32    
অলিম্পিক সংক্রান্ত খবরমালা

cri
    ৪ জুন চীনের হু নান প্রদেশের সিয়াং থান শহরে পেইচিং অলিম্পিক মশাল হস্তান্তর হয়েছে। সে দিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মশাল হস্তান্তর শুরু হওয়ার আগে উপস্থিত সবাই সিছুয়ান ভূমিকম্পে নিহতদের শোকে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। সিয়াং থান শহরের মশাল যাত্রা তুং ফাং হোং চত্বরে শুরু হয়ে সিয়াং থান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর প্রায় ৫০ কিলোমিটার যাত্রা শেষে মশালটি চীনের সাবেক নেতা মাও সে তুংয়ের জন্মভূমি শাও শানে পৌঁছে। বিকাল ২টায় শাও শানে মশাল হস্তান্তর শুরু হয়। এদিন মশাল যাত্রার মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৮২.১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২১.৮ কিলোমিটার পথ মশাল বাহকরা দৌড়ে হস্তান্তর করেন। মোট ২০৫জন মশাল বাহক এতে অংশ নেন।

    অন্তর্জাতিক অলিম্পিক নির্বাহী কমিটি সম্প্রতি এথেন্সে ঘোষণা করেছে যে, ২০১৬ সালের অলিম্পিক যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, জাপানের টোকিও, ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো এবং স্পেনের মাদ্রিদ এই ৪টি শহরের যে কোনো একটিতে আয়োজিত হবে। এসব আবেদনকারী শহর আন্তর্জাতিক অলিম্পকি কমিটি'র কাছে সংশ্লিষ্ট দলিল দাখিল করবে। এরপর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি তা যাচাই বাছাই করবে। একটি পরিদর্শক দল আবেদনকারী প্রতিটি শহরে গিয়ে ভালভাবে পর্যালোচনার পর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক স্বাগতিক শহরের নাম প্রকাশের ১ মাস আগে তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবে। সময়সূচী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ২০১৬ সালের অলিম্পিক স্বাগতিক শহরের নাম প্রকাশ করবে।

    এর আগে মোট ৭টি শহর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি'র কাছে অলিম্পিকের স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদন পেশ করেছে। এ ৪টি শহর ছাড়াও, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ, আজারবাইজানের বাকু এবং কাতারের দোহা স্বাগতিক হওয়ার জন্য আদেবন করেছে। কয়েক দিন আগে আই.ও.সি প্রকাশিত একটি কারিগরী পর্যালোচনায় জাপানের টোকিও প্রথম স্থানে অর্থাত সবগুলো শহরের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। পর্যালোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো, যোগাযোগ, নিরাপত্তা এবং আর্থিক শক্তি। টোকিও অলিম্পিক আবেদন কমিটির প্রধান স্বাগতিক হিসেবে মননোনীত হওয়ার ব্যাপারে খুব আশাবাদী। তিনি বলেন:

    "আমরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে টোকিওতে অলিম্পিক আয়োজনের পরিকল্পনা জানাবো। আমরা বিশ্বাস করি টোকিও এই সুযোগ পাবে।" টোকিও অলিম্পিক আবেদনের জন্য ৫.৫ বিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ করেছে। যদি তারা সুযোগ পায় তাহলে অলিম্পিক আয়োজনে তারা ৩২০ বিলিয়ন ইয়েন ব্যায় করবে। ৭০ শতাংশেরও বেশি টোকিওবাসী অলিম্পিক আবেদনকে সমর্থন করে।

    টোকিও ছাড়াও ২০১৬ সালের অলিম্পিক প্রার্থী শহরগুলোর সবারই নিজ নিজ সুবিধার দিক আছে, যেমন শিকাগো। আই.ও.সি'র কাছে দেয়া আবেদন পত্রে মার্কিন অলিম্পিক কমিটি শিকাগো শহরের সুবিধার দিকগুলো উল্লেখ করেছে। কারণ সেখানে অলিম্পিক ভিলেজ এবং অধিকাংশ স্টেডিয়াম শহরের কেন্দ্র স্থলে বা এর কাছাকাছি থাকবে। এছাড়া ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের অভিজ্ঞতাও আছে। তাই মার্কিন নাগরিকরা আবারো অলিম্পিক আয়োজনের প্রত্যাশা করছে। বলা যায় এই ৪টি শহরই অলিম্পিক আয়োজনের জন্য যোগ্য। কোন শহর অবশেষে সুযোগটি পাবে তা দেখার জন্য ভোটের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ভোটের ফলাফলের ব্যাপারে জাপান খুবই আশাবাদী। টোকিও অলিম্পিক আবেদন কমিটির প্রধান বলেন:

    "এশীয় দেশগুলো অবশ্যই আমাদেরকে সমর্থন করবে। যেমন চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া। বর্তমান চীন ও জাপানের সম্পর্ক খুব ভাল, আমি বিশ্বাস করি চীন নিশ্চয়ই টোকিওকে সমর্থন করবে।"

    তাছাড়া আই.ও.সি'র নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে যে, ইরাক সরকারের সে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে আই.ও.সি ইরাক অলিম্পিক কমিটিকে সাময়িকভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আই.ও.সি একটি ইস্তাহারে বলে, দু'সপ্তাহ আগে ইরাকের প্রেসিডেন্ট ইরাক অলিম্পিক কমিটি এবং সেদেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর পাশাপাশি ক্রীড়া মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী কমিটি গঠন করে তাদেরকে অলিম্পিক কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা ইরাকের অলিম্পিক কমিটি'র অধিকার হরণের শামিল। তাই আই.ও.সি সাময়িকভাবে ইরাক অলিম্পিক কমিটির যে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে অংশ নেয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আইওসি ইরাক সরকার গঠিত "অস্থায়ী কমিটি"কে স্বীকৃতি না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। উল্লেখ্য, ইরাক এই অবস্থা থেকে বের হতে না পারলে তারা আগস্ট মাসে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে পারবে না।

    পেইচিং সাংগঠনিক কমিটি টিকিট কেন্দ্র তৃতীয় পর্যায়ের বিক্রি হওয়া টিকিটের দাম ব্যাংকে জমা দেয়ার সময় ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫ জুন পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটি'র টিকিট বিক্রি কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১২ মে সিছুয়ান ওয়েন ছুয়ান ভূমিকম্পের পর অনেকেই ত্রাণ কাজে নিযুক্ত হয়েছেন বলে সময় মতো টিকিটের মূল্য ব্যাংকে জমা দিতে পারেননি। তাদের টিকিট ক্রয়ের অধিকার রক্ষা করার জন্য টিকিট কেন্দ্র টাকা জমা দেয়ার সময় ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, পেইচিংয়ের বাইরে ফুটবল প্রতিযোগিতার আরো কিছু টিকিট আছে, সেগুলোর বিক্রির সময়সীমা ৯ জুন পর্যন্ত।