বর্তমানে সি ছুয়ান প্রদেশের রাজধানি ছেং তু শহর এবং অন্যান্য বড় শহরের সরবরাহ বেড়ে গেছে । একই সঙ্গে শহর ও জেলায় ত্রাণ-সামগ্রী পাঠানো সংক্রান্ত পরিবহন সমস্যার মৌলিক সমাধানও করা হয়েছে। এখন সবচে' বেশি জরুরি কাজ হচ্ছে ঘাটতি থাকা সামগ্রী ও দ্রব্য দুর্গত অঞ্চলের গ্রামীণ সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য পরিবহনের চ্যানেল জোরদার করা। বাণিজ্যিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ত্রাণ-সামগ্রী দুর্গত অঞ্চলের সর্বনিম্ন পর্যায়ের অধিবাসীদের হাতে তুলে দেয়া উচিত। গাড়ি এবং মোটর-সাইকেলের পাশাপাশি দুর্গত অঞ্চলে ঘোড়ার মাধ্যমে কাজ করা। যেখানে ঘোড়া যেতে পারবে না এমন জায়গায়ে লোকজনকে হেটে হলেও কাজ করতে হবে।
বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী দুর্গত অঞ্চলে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩ হাজার এক শ'রও বেশি প্রশাসনিক গ্রামে দোকানপাট পুনরায় খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দোকানপাট পুনরায় খোলার কাজ বিভিন্ন অঞ্চল ও বিভিন্ন পর্যায়ের অবস্থাও ভিন্নতর।
দুর্গত অঞ্চলের সরবরাহকে সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার দায়িত্ব পালন করেছে। এবার ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ভূমিকম্পের বিভিন্ন তথ্য সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং চীনে বিদেশী সরকারের সংস্থাগুলোকে দ্রুত অবহিত করেছি। ১৩ মে থেকে আমরা ত্রাণের আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করে আসছি। এসব অর্থের পরিবর্তে অনেক বেশি খাদ্যদ্রব্য , তাঁবু এবং জরুরি ঔষধ হিসেবে দুর্গত অঞ্চলে পাঠিয়েছি।
দুর্গত অঞ্চলের পরবর্তী পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক সহায়ক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে যাবে। এতে দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণ-সামগ্রী সুশৃঙ্খলভাবে বিতরণ করা সম্ভব হবে। এবারের সি ছুয়ানের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সত্যিকারভাবেই স্থানীয় অঞ্চলের অবর্ননীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে সারা দেশের বাজারের সরবরাহ আরও স্বাভাবিক হয়ে ওঠার পথে রয়েছে ।--ওয়াং হাইমান 1 2
|