v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-26 21:13:11    
প্যাশনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয় শহরের স্বপ্ন

cri
    পেইচিং অলিম্পিকের শ্লোগান হল "লাইট দ্য প্যাশন, শেয়ার দ্য ড্রিম"। শাংহাই বিশ্ব মেলা সমন্বিত ব্যুরোর মশাল বাহক মাও জু ছেন এবং তার সহকর্মীরা নিজেদের পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতি ভবিষ্যতের সুন্দর শহর জীবনের স্বপ্ন হস্তান্তর করছেন। এখন শুনুন এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন।

    শাংহাই হল এবারের পেইচিং অলিম্পিকের সহকারী শহর। এর পাশাপাশি ২০১০ সালে শাংহাইয়ে বিশ্ব মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের দুটি বৃহত্তম ঘটনা এই আন্তার্জাতিক শহর শাংহাই-এ অনুষ্ঠিত হবে বলে তা শাংহাইয়ের জন্য খুব গৌরবের ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

    সম্প্রতি শাংহাই বিশ্ব মেলা সমন্বিত ব্যুরোর প্রদর্শনী বিভাগের সহকারী পরিচালক মাও চু ছেন বিশ্ব মেলার প্রস্তুতিমূলক কাজ নিয়ে খুবই ব্যস্ত। প্রতিদিন ১২ ঘন্টারও বেশি সময়ে তিনি কাজে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন:

    "প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঘর থেকে বের হই, এবং রাত ১১টায় বাড়ি ফিরে যাই। দিনে বহু মিটিং হয়, কারণ বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। রাতে আবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে হয় মতবিনিময়। আমাদের এই সংস্থা সরকারের একটি বিভাগের মতো। সব কর্মীদের পরিশ্রমের প্রস্তুতি নিতে হয়। যে কোনো ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ শেষ করতে হয়। সবাই এমন অবস্থায় কাজ করছে।"

     মাও চু ছেন-এর প্রদর্শনী বিভাগের কাজ বিশ্ব মেলার প্রস্তুতির কাজের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা শাংহাই বিশ্ব মেলার শ্লোগান "বেটার সিটি, বেটার লাইফ" বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দর্শকদের উদ্ধেশ্যে প্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেন:

    "আমাদের দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। যেমন বিশ্ব মেলায় কি কি বিষয় সবচেয়ে মজার? আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসাধারণকে দেখাতে এবং বোঝাতে সক্ষম হই যে "বেটার সিটি,বেটার লাইফ" শ্লোগানটির মর্মকথা।"

    চীন এখন শহরায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তাই শহরকে এবারের বিশ্ব মেলার প্রধান বিষয় হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। মাও চু ছেন বলেন, তারা শহরের উন্নয়নের প্রক্রিয়া এবং শহরের মুখ এই দুটি ভিত্তিতে শহরের মানুষ, শহর, শহর উপগ্রহ, মানুষের বিচরণ এবং শহরের স্বপ্ন পাঁচটি বিষয় মেলার চেতনা তুলে ধরা হয়েছে। যদিও শহর এখন আবহাওয়া পরিবর্তন এবং গুরুতর দূষণের সম্মুখীণ হচ্ছে, তা সত্ত্বেও মাও চু ছেন বিশ্বাস করেন মানব জাতি'র অভিন্ন চেষ্টার মাধ্যমে শহরের ভবিষ্যত নিশ্চয়ই সুন্দর হবে। তিনি বলেন:

    "অনেকেই বলে শহর হল সব আগাছার উত্স। শিল্পায়নের ফলে দূষণ, জ্যাম, দারিদ্রতা এবং অপরাধপূর্ণ। শহর হল সমস্যার উত্স, এর পাশাপাশি শহর আবার সমস্যাগুলো সমাধানে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এর জন্য একটি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা দরকার। আমি মনে করি না যে শহর একটি অন্ধকার জায়গা। আমাদের এটা ভাবতে হয় যে কিভাবে ব্যবস্থা নিলে করলে শহরটি আরো সুন্দর হতে পারে।"

   শাংহাই বিশ্ব মেলা সমন্বিত ব্যুরোর সুপারিশ অনুযায়ী অলিম্পিক মশাল বাহক হিসেবে মাও চু ছেন বলেন, অলিম্পিক আর বিশ্ব মেলার সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ।

    "১৮৯৬ সালের এথেন্স অলিম্পিকের পর দু'বার অলিম্পিক এবং বিশ্ব মেলা একসাথে অনুষ্ঠিত হয়। দু'টি ঘটনা বলা যায় মানব জাতি'র জন্য আনন্দের মেলা। একটি হল প্রদর্শনী আরেকটি হল ক্রীড়া। বিশ্ব মেলা এবং অলিম্পিক দুটোই বিশ্বের সামনে এক দেশের সব কিছু প্রদর্শনের একটি সুযোগ সৃষ্টি করে।"

    তার সহকর্মীর চোখে মাও চু ছেন একটি খুব পরিশ্রমী লোক, তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রাখছেন। অলিম্পিক সম্পর্কে তিনি নিজের আশা প্রকাশ করে বলেছেন:

    "আমি আশা করি এ বারের অলিম্পিক সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এর ভিত্তিতে যদি অলিম্পিক চীনের বৌশিষ্টকে তুলে ধরতে পারে, বিশেষ করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি প্রদর্শন করতে পারে তাহলে সারা চীনের মানুষ খুব গৌরবান্বিত বোধ করবে। আমি আশা করি বিশ্ব চীনকে আরো বেশি জানতে পারবে।"(ইয়াং ওয়েই মিং)