v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-26 20:18:16    
ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট নতুন দুর্যোগ প্রতিরোধে চীনের ব্যবস্থা

cri

    চীনের ভূমিকম্প উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ পুরোদমে চলছে । দুর্গতদের পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন কাজের পাশাপাশি, ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট নতুন দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পানি সংরক্ষন প্রকল্প এবং বাঁধযুক্তভূমিকম্প হ্রদ থেকে সৃষ্ট দুর্যোগবিভিন্ন ক্ষেত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । ২৫ মে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে একজন কর্মকর্তা বলেছেন , ক্ষতিগ্রস্ত পানি সংরক্ষণ প্রকল্প ও ভূমিকম্প হ্রদের ঝুঁকি সম্পর্কিত পূর্বাভাস জোরদার করা হয়েছে ।

    ভূমিকম্প থেকে সংক্রামক রোগের বিস্তার , ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ থেকে বন্যা এবং রসায়নিক কারখানার বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণসহ ধারাবাহিক দুর্যোগ সৃষ্টিহওয়ার আশংকা রয়েছে । ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্প হওয়ার পর চীন স্বাস্থ্য রক্ষা ও গণ স্বাস্থ্যহানিকর ঘটনা রোধ জোরদার করেছে এবং দুর্গত এলাকার দূষণের উত্সগুলোর ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে । এ পর্যন্ত ভূমিকম্প এলাকায় কোনো গুরুতর সংক্রামক রোগ বিস্তার ও পরিবেশ দূষিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি । কিন্তু দুর্গত এলাকার কিছু পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের ক্ষতি হয়েছে । অন্য দিকে ভূমিকম্প হ্রদগুলো নিম্ন অববাহিকার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টিও করেছে ।

    ২৫ মে একটি সংবাদ সম্মেলনে চীনের পানি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ চিংপি বলেছেন , এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ২০০০টি বাঁধের ক্ষতি হয়েছে । এর মধ্যে সিছুয়ান প্রদেশের৭০ শতাংশেরও বেশি বাঁধের ক্ষতি হয়েছে । তিনি বলেন , পানি বিশেষজ্ঞরা অতি বিপদজনক বাঁধগুলোতে পরীক্ষা চালিয়েছেন । পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এই সব বাঁধযুক্ত পানির স্তর কমিয়ে দেয়া বা খালি করা হয়েছে । বর্তমানে সিছুয়ান প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৬৯টি বাঁধযুক্ত জলধার খালি এবং ৮২৬টির পানি কমিয়ে দেয়া হযেছে । এতে বাঁধের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে ।

    বাঁধগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য ভূমিকম্পহ্রদ একটি জটিল সমস্যা। ভূমিকম্পের ফলে পাহাড় ধসে পড়ায় নদীর তলদেশ আটকে পড়ে ভূমিকম্পহ্রদ সৃষ্টি হয় । যার ফলে হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা হয় । জানা গেছে , ভূমিকম্পের পর সিছুয়ান প্রদেশের দুর্গত এলাকায় ৩০টিরও বেশি ছোট বড় ভূমিকম্পহ্রদ সৃষ্টি হয়েছে । এই সব ভূমিকম্পহ্রদ যে কোনো সময় নিম্ন আববাহিকার জনসাধারণের জানমাল ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দেকা দিতে পারে ।

    উপমন্ত্রী এ চিংপিং বলেছেন, ভূমিকম্প হওয়ার পর প্রতিটি ভূমিকম্পহ্রদের আকার ও ভৌগলিক অবস্থা এবং নিম্ন অববাহিকার ওপর সেগুলোর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পানি মন্ত্রণালয় জরুরী ভিত্তিতেপ্রকৌশলী দল পাঠিয়েছেন । তিনি বলেন , যে ভূমিকম্প হ্রদ থেকে নিম্ন অববাহিকার জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশংকা থাকবে সে গুলোতে পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে এবং জনসাধারণকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ।

    তিনি বলেছেন, এই সব ভূমিকম্প হ্রদের মধ্যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী থাং চিয়াশান ভূমিকম্প হ্রদ সবচেয়ে বিপদজনক । যার ভৌগলিক অবস্থা অত্যন্তজটিল এবং পরিস্থিতি এখনো কঠিন । তিনি জানান , থাং চিয়াশান ভূমিকম্পহ্রদের বিপদ কাটিয়ে ওঠার কাজ চলছে ।

    চীনের পানি মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী লিউ নিং ২৫ মে থাংচিয়ামান ভূমিকম্পহ্রদ থেকে পেইচিং ফিরে এসেছেন । ঘটনাস্থল সম্পর্কে তিনি জানান , এখন সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই জায়গায় ৪টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে । এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা ধরে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে । কিছু ঘটলে সঙ্গেসঙ্গে নিম্ন অববাহিকায় খবর জানানো হবে । তিনি বলেন , স্থানীয় সরকার নিম্ন আববাহিকার জনসাধারণকে অন্য স্থানে সরানোর পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিয়েছে । ঝুঁকির পরিমান বেড়ে গেলে যথাসময় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে । ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট নতুন দুর্যোগ ন্যূনতম মাত্রায় কমিয়ে দেয়া এবং উপর ও নিম্ন অববাহিকার জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যেই এই সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।--চুং শাওলি