১৫ মার্চ আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার দিবস।
আধুনিক শিল্পায়ন ও উত্পাদনের দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি উত্পাদন প্রযুক্তির নিরন্তর পরিবর্তন ও উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভোগ্য পণ্যের কাঠামোও দিন দিন পরিবর্তন শীলতার সঙ্গে জটিল হয়ে উঠেছে। ভোগ্য পণ্যের ব্যবহারের সমস্যাও বেড়ে যাচ্ছে। পণ্যদ্রব্যের আদান-প্রদান দ্রুততর হচ্ছে এবং প্রতিযোগিতা তীব্রতর হয়েছে। অনেক পণ্যভোগ করার ক্ষেত্রে সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ব বাজারে নকল পণ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশ তা প্রতিরোধের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরো ভালোভাবে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক ভোক্তা জোট (বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভোক্তা সমিতি) প্রতি বছরের ১৫ মার্চ আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন নিশ্চিত করেছে।
আন্তর্জাতিক ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের আন্দোলন অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ১৯৮৫ সালের ৯ এপ্রিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩৯তম অধিবেশনে 'ভোক্তা সংরক্ষণ বিধি' গৃহীত হয়। বর্তমানে এই সমিতিতে বিশ্বের শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ২শ'রও বেশি সংস্থা রছেছে। ১৯৮৭ সালে চীনের ভোক্তা সমিতি এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগ দেয়।
আন্তর্জাতিক ভোক্তা সমিতি ভোক্তাদের ৮টি মৌলিক অধিকারের সারসংকলন করেছে। ভোক্তারা পণ্যভোগের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেঃ মৌলিক চাহিদা পুরনের অধিকার, নিরাপদে পণ্যভোগের অধিকার, পণ্যভোগের সময় মৌলিক বাস্তবতা জানার অধিকার, বাছাইয়ের অধিকার, আহ্বান জানানোর অধিকার, ন্যায্য বিরোধ সমাধানের অধিকার, পণ্যভোগের মৌলিক জ্ঞান জানার অধিকার এবং সুষ্ঠু পরিবেশে জীবন-যাপন ও কাজ করার অধিকার।
|