সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিদেশের বিভিন্ন মহলের ব্যক্তি চীনা দূতাবাসে ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় চীনের স্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে সিচুয়ান ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। এর পাশাপাশি চীনে পাঠানো বিশ্ব সম্প্রদায়ের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুকুদা ইয়া সুয়ো বলেছেন, চীনের ত্রাণ কাজে আরও সাফল্য অর্জিত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। তিনি আশা করেন, দুগর্ত এলাকায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনর্গঠন কাজ শুরু হবে। এর আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সাকোজি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিও বুশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিন বো চীনা দূতাবাসে গিয়ে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।
অন্য দিকে জাতিসংঘ মহা সচিব জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি দলের থাকার জায়গায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় মহান চীনা জনগণের সঙ্গে থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা পরিচালক ফন ফু জেন ২০ মে জেনিভায় চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি দলের থাকার জায়গায় সিচুয়ান ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। চীনের ত্রাণ কাজে যে উচ্চ কার্যকরিতা ও স্পষ্টতা দেখা দিয়েছে তিনি তার প্রসংশা করেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকস রগ সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, অলিম্পিক ক্রীড়া ক্ষেত্রও চীনের দুর্গতদের পাশে থাকবে।
বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা চীনের ভূমিকম্প এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী, চিকিত্সা সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ পাঠিয়েছে । ২১ মে জর্দানের রাজার প্রদাত্ত ত্রাণ সামগ্রী চেংতুতে পৌঁছেছে। বেলজিয়াম সরকারের দেওয়া ৪০ টন ত্রাণ সামগ্রী চেংতুতে পৌছেছে।
|