১৯ মে দুপুর দু'টা ২৮ মিনিটে হু চিন থাও, চিয়াং ছে মিন, উ পাং কুও, ওয়েন চিয়া পাও, চিয়া ছিং লিন, লি ছাং ছুন, সি চিন পিং, লি কে ছিয়াং, হো কুও ছিয়াং ও চৌ ইয়ো খাং প্রমুখ চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণের সঙ্গে সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েনছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের শোকে ৩ মিনিট নীরবতা পালন করেন।
১৯ মে ভোরে চীনের পেইচিংয়ের থিয়ান আন মেন মহাচত্বরে স্বাভাবিক পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হয়। এর মধ্য দিয়ে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন জাতির জনগণের গভীর শোক প্রকাশিত হয়।
১৯ মে সকালে চীনে ৮০টি দেশের কূটনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯ মে সকালে হংকং ও ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকারী সংস্থা ও স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে পতাকা অর্ধ-নমিত রেখে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে। ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধার কাজে কর্মরত রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের উদ্ধার দলগুলো ১৯ মে দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে সিছুয়ানের ওয়েনছুয়ানে সকল চীনা মানুষের সঙ্গে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
১৯ মে দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে ভেঁপুর আওয়াজ তিব্বতের প্রাচীন নগর লাসার চার দিকে ছড়িয়ে যায়। পোতালা মহাচত্বরে বিভিন্ন জাতির হাজার হাজার জনসাধারণ নিরবতা পালন করে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
১৯ মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিছুয়ানের ওয়েনছুয়ানে ৮ মাত্রায় ভূমিকম্পে সিছুয়ান, কানসু, শেনশি, ছুংছিং, ইয়ুন নান, হু পেই, হোনান ও হু নান প্রদেশের মোট ৩৪,০৭৩ জন নিহত এবং ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত জাতীয় শোক ঘোষণা করে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|