v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-19 16:51:52    
চীন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে ফি মওকুফ করার নীতি পুনরুদ্ধার হয়

cri
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়সহ চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছয়টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ফি মওকুফ করার নীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। এসব ছাত্রছাত্রী স্নাতক হবার পর শিক্ষকতার কাজ করবে। এই নীতি অনুযায়ী, উপরোক্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ফি মওকুফ করার পাশাপাশি কিছু জীবন-ভাতাও দেয়া হবে। শিক্ষা মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ কেবল দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে স্নাতক লাভে সাহায্য করবে, তাই নয়, বরং চীনের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের অভাবের পরিস্থিতি প্রশমিত করার জন্যেও কল্যাণকর হবে।

নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্নাতক হয়েছেন, চীন সরকার সেই সব ছাত্র-ছাত্রীকে যাবতীয় ফি মওকুফ করার সুবিধা দিতো। তবে ১৯৯৭ সাল থেকে শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় এসব ছাত্র-ছাত্রীদের ফি মওকুফের নীতি বাতিল করে।

২০০৭ সালের প্রথম দিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ১০তম জাতীয় গণ কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে এক সরকারী রিপোর্টে বলেছেন, শিক্ষার উন্নয়ন ও সামঞ্জস্য ত্বরান্বিত করা, শিক্ষক শিক্ষার সংস্কার ও উন্নয়ন জোরদার করা এবং মাধ্যমিক স্কুলের আরো বেশি শ্রেষ্ঠ স্নাতক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্যে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছয়টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ফি মওকুফ করার নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।

চু মিন চান দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কুয়াংসি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কুই লিন শহরের পরীক্ষামূলক মাধ্যমিক স্কুলের একজন স্নাতক ডিগ্রী প্রাপ্ত ছাত্র। গত বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ভর্তি পরীক্ষায় সে শ্রেষ্ঠ সাফল্যের মাধ্যমে পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হয়েছে। সে যাবতীয় ফি মওকুফ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।(১)

শিক্ষক ভালো আছেন।আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পত্র নিতে এসেছি।

আচ্ছা। একটু অপেক্ষা করো। এটি তোমার। তোমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়া হচ্ছে চু মিন চানের আদর্শ। এর পাশাপাশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি মওকুফের কারণে তার পরিবারের চাপ কমে গেছে। এই নীতিতে সে খুব সন্তুষ্ট । সে বলেছেন, (২)

আমি সব সময় মনে করে আসছি যে, আমি চীনের সবচেয়ে ভালো শিক্ষক প্রশিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবো। আমি একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকে পরিণত হবো। আমি গ্রাম থেকে এসেছি। এখানকার শিশুদের জ্ঞান খুবই দরকার। আমি আশা করি, পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার লব্ধ সব জ্ঞান এসব শিশুদেরকে শিখাবো। এতে মানুষের জীবন এবং গ্রামের অর্থনৈতিক আবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।

জানা গেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের ফি মওকুফ করার নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছয়টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্ব চীন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, মধ্য চীন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, শান সি শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ পশ্চিম বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর এই ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বেশির ভাগই চীনের স্বল্পোন্নত অঞ্চল থেকে এসেছে। প্রত্যেক ছাত্র প্রতি বছর ১০ হাজার ইউয়ান করে ভর্তুকি পাবে।

পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অফিসের পরিচালক থু ছিং ইয়ুন বলেছেন, ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মান খুব ভালো। তারা খুব ভালো ফলাফল করেছে। বিশেষ করে, তারা শিক্ষা ব্রুকে ভালোবাসে। তিনি বলেছেন, (৩)

ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মান থেকে জানা গেছে, অবৈতনিক শিক্ষাদান পুনরুদ্ধার হওয়ায় চীনের শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির হার বেড়ে গেছে।

কিছুদিন আগেও চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষভাবে এসেছেন। এ পরে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অবৈতনিক শিক্ষাদান লাভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, স্নাতক হবার পর চিরকাল শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অবৈতনিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। যাতে সমাজে শিক্ষককে সম্মান করা এবং শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়। (লিলু)