চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ভূমিকম্প সংক্রান্ত বিশেষ রিপোর্টিং গ্রুপ ১৬ মে রাতে সি ছুয়ান প্রদেশের রাজধানী ছেং তু'তে পৌঁছায়। বিমান থেকে নেমে এসেই আমাদের সংবাদদাতা দেখেছেন যে, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা উদ্ধারকর্মী ও পরিসেবক দল ও বিভিন্ন জায়গার পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী ছেংতু বিমানবন্দরে জমে আছে। এখন শুনুন আমাদের সংবাদদাতা থিয়েন জিন'এর পাঠানো খবর।
"আমরা ছেং তু'তে পৌঁছেছি।…"
আমরা ছেংতু শুয়াং লিউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পরই একের পর এক লাল রংয়ের শার্ট আমাদের চোখে পড়তে থাকে। প্রতিই শার্টের ওপরে লেখা আছেঃ শেন জেন শহরের স্বেচ্ছাসেবক। জানা গেছে, তারা হলেন দক্ষিণ চীনের শেন জেন শহর থেকে আসা যুব স্বেচ্ছাসেবক। তারা দুর্গত এলাকায় গিয়ে সেখানকার শিশুদের মানসিক সাহায্য দেবে। এদের মধ্য থেকে ওয়েন শি হুং নামক একজন যুবক বলেন:
"ভূমিকম্পের পর শিশুদের মানসিক অবস্থা ভাল নেই। তারা নিজের আত্মীয়স্বজনদের মৃত দেখে বা এমন একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখে মানসিক আঘাত পেয়েছে। আমাদের কাজ হলো তাদের যথাসাধ্য মানসিক সাহায্য করা।"
ছেংতু'তে পৌঁছানো স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে তারা একটি দল। আমাদের একই বিমানে আসা চীনের স্থাপত্যবিদ্যা গবেষণাগারের সদস্য এবং চীনের ভূমিকম্প প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রযুক্তিবিদরাও এখানে সাহায্য ও সহায়তার কাজে অংশ নেবে। তাদের প্রধান কাজ হল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের মূল্যায়নের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের জন্য প্রাথমিক জরীপ করা। চীনের স্থাপত্যবিদ্যা গবেষণাগারের পরিচালক ওয়াং চিয়ুন বলেন:
"ভূমিকম্পের পর সবেমাত্র আমরা প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ পেয়েছি। প্রতিটি দুর্যোগ ঘটার পরই আমরা দুর্গত স্থলে যাই। করণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের প্রাথমিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা দরকার। যাতে পরবর্তী পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে একটি তথ্য ভিত্তি সরবারাহ করা যায়।"
বিমানবন্দরে আমরা আরো দেখেছি যে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ত্রাণ সামগ্রী ছেংতু'তে পাঠানো হচ্ছে। এসব সামগ্রী দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হবে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|