সিংহুয়া বার্তা সংস্থার এক খবরে বলা হয়েছে , সি ছুয়ান প্রদেশের ওয়ে ছুয়ান জেলায় প্রবল ভূমিকম্প ঘটার পর এক শ' ঘন্টা পার হয়েছে । যদিও ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভাঙা বাড়ির নীচে আটকে পড়া দুর্গতদের বাঁচানোর সময় পার হয়ে গেছে , তারপরও ত্রাণকর্মীরা আরো বেশি বেচে থাকা জীবিতদের উদ্ধারের আশা ত্যাগ করেন নি । চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও নির্দেশ দিয়েছেন , দুর্গতদের বাঁচানোর বিন্দুমাত্র আশা থাকলেও শতভাগ চেষ্টা চালাতে হবে । বর্তমানে ত্রাণকর্মীরা আরো বেশি বেচে থাকা মানুষকে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে ।
একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ১৬ মে বেলা দুটা পর্যন্ত ওয়েন ছুয়ানের প্রবল ভূমিকম্পে মোট ২৮ হাজার ৮ শ' ৮১জন প্রাণ হারিয়েছে। দুই লাখ মানুষ আহত হয়েছেন ।
চীনের গণ মুক্তি ফৌজ ও সশস্ত্রপুলিশ বাহিনীর এক লাখ ১০ হাজার সেনা সদস্য ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছে। সেনাবাহিনীর ৯৯টি হেলিকপ্টার দুর্গত অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে । জাপান , রাশিয়া , দক্ষিণ কোরিয়া , সিংগাপুর , হংকং ও তাইওয়ানের ত্রাণ দল দুর্গত অঞ্চলে পৌছেছে ।
১৬ ও ১৭ মে ত্রাণ কর্মীরা মাটির নীচ থেকে মোট ১৬০জন জীবীত মানুষকে উদ্ধার করেছেন । এ সব মানুষ মাটির নীচে চার থেকে পাঁচ দিন আটকে ছিলেন । তাদের মধ্যে জার্মানীর একজন পর্যটক মাটির নীচে ১১৪ ঘন্টা আর ৬৯ বছর বয়সের স্থানীয় একজন অধিবাসী মাটির নীচে ১১৯ঘন্টা ছিলেন । ১৬ মে রাত ৮টা পর্যন্ত এক লাখ দশ হাজার লাখ আহত মানুষ সি ছুয়ান প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন । তাদের মধ্যে ১৬০০জনের অবস্থা আশংকাজনক।
চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ১৬ মে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চীনের বিভিন্ন স্থান ও বিভিন্ন দেশ দুর্গত অঞ্চলের জন্য মোট ৬ শ'কোটি ইউয়ান অনুদান দিয়েছে। রাশিয়া , পাকিস্তান , স্পেন , সিংগাপুর , ফিলিপাইন ও ফ্রান্সের ত্রাণসামগ্রী দুর্গত অঞ্চলে পৌছেছে ।
জানা গেছে , প্রবল ভূমিকম্পের পর বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান চিও চাই কৌয়ে আটকে পড়া সব পর্যটক নিরাপদে ফিরে গেছেন । সি ছুয়ান প্রদেশের৭০ শতাংশ দুর্গত অঞ্চলের পানি সরবরাহ মোটামুটি পুনরুদ্ধার হয়েছে , ১৪ লাখ মানুষের পানির সমস্যার এখনও সমাধান হয় নি , দুর্গত অঞ্চলের জন্য আরো আরো ২৬ লাখ তাবুর প্রয়োজ ।
|