রোবুলিনখা পোতালা ভবনের পশ্চিম দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি তিব্বতী ভাষা, এর অর্থ হচ্ছে 'মূল্যবান বাগান'। সপ্তম দালাই লামার পর প্রতিটি দালাই লামা এখানে লেখাপড়া করেন। তাঁরা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গ্রীষ্মকালে এখানে থাকতেন। স্থানীয় জনগণ রোবুলিনখাকে দালাই লামার গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ বলে ডাকে। তিব্বতী জনসাধারণ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে রোবুলিনখার মর্যাদা পোতালা ভবনের সমান।
সপ্তম দালাই লামা লেইগোশাংচিয়াছো স্বাশনামলে রোবুলিনখা নির্মিত হয়েছে। এর আয়তন ৩৬ লাখ বর্গমিটার। রোবুলিনখা হচ্ছে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যের সমিশ্রণে তৈরী এক বিরাট প্রাচীন প্রাসাদ বাগান। রোবুলিনখার মহা স্থাপত্য ও চমত্কার প্রাচীরের চিত্রাঙ্কন তিব্বতে অদ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
২০০২ সালে চীন সরকার রোবুলিনখার ব্যাপক সংস্কার করেছে। এ বারের সংস্কারের জন্য মোট ৬ কোটি ৭৪ লাখ ইউয়ান ব্যয় করা হয়েছে। এবার নষ্ট হওয়া ৬৯৮ বর্গমিটার প্রাচীরের চিত্রাঙ্কনও পুনরানয়ন করা হয়েছে। পাঁচটি প্রধান ভবনের কাঠামোর মেরামতও হয়েছে। ২০০৫ সালে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়।
২০০৭ সালের প্রথম দিকে চীন সরকার সাত কোটি ইউয়ান ব্যয় করে রোবুলিনখার মাটি ও পানির ব্যবস্থা করেছে। এর পাশাপাশি রোবুলিনখার আশেপাশের পরিবেশও নতুন করে সাজানো হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল সম্পূর্ণ নতুন করে সাজানো রোবুলিনখা আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয়। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|