১৬ মে চীনের পিপলস ডেইলিতে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে , কোনো বাধা-বিপত্তিতে চীনা জনগণ মাথানত করবে না ।
প্রবন্ধে বলা হয় , চীনের জন্যে ২০০৮ সাল একটি ব্যতিক্রমী বছর । বছরের শুরুতে দক্ষিণ চীনে স্মরণকালের ভয়াবহ তুষার দুর্যোগ হয়েছিল । সারা দেশে তখন ত্রাণকাজ চালানো হয় । অল্পদিনের মধ্যে এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে । ১৪ মার্চ লাসাতে সহিংস ঘটনা ঘটেছে । তবে কোনো শক্তি মাতৃভূমির একীকরণ ও জাতীয় সংহতি রক্ষার ক্ষেত্রে চীনা জনগণের দৃঢ় সংকল্পকে দমাতে পারে নি । কিছুদিনের মধ্যে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও অন্যান্য তিব্বতী জাতি-অধ্যুষিত এলাকায় আবার স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে । বিদেশে অলিম্পিক মশাল হস্তান্তর অল্প সংখ্যক তিব্বতের স্বাধীনতাকামী ব্যক্তির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে । কোনো কোনো পশ্চিমা গণ মাধ্যমও এ নিয়ে হৈচৈ করেছিল । অথচ অলিম্পিক মশাল হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বের চীনারা অভূতপূর্বভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
প্রবন্ধে বলা হয় , সিছুয়ান প্রদেশের ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটার দিনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হু চিন থাও পলিট ব্যুরো স্থায়ী কমিটির জরুরী অধিবেশন ডেকে ত্রাণ কাজ পরিচালনা করেন । প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও দ্রুতার সংগে দুর্গত এলাকায় গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন । চীনা গণ মুক্তি ফৌজের এক লাখ কর্মকর্তা ও সৈনিক দ্রুত দুর্গত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন । দেশ বিদেশের চীনারা চাঁদা দেয়ার জন্যে এগিয়ে আসছেন ।
প্রবন্ধে আরো বলা হয় , কোনো বাধা-বিপত্তিতে চীনের জনগণ , সরকার ও বাহিনী মাথানত করবে না ।
|