v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-16 14:33:49    
বৃহত্তর মেকং নদীর উপআঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা

cri
    বৃহত্তর মেকং নদীর উপআঞ্চলিক জি এস এম অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সদস্য ৬ দেশ হচ্ছে চীন, কম্পুচিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। সংস্থার লক্ষ্য অর্থনৈতিক যোগাযোগ জোরদার, দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই সহযোগিতা সংস্থার উদ্যোক্তা, সমন্বয়কারী ও প্রধান অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থা।

    জি এস এম অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার সাংগঠনিক কাঠোমোর মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন, মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন, উর্ধতন কর্মকর্তা সম্মেলন ও কর্মগ্রুপ এ ৪টি স্তর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংস্থার সচিবালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। শীর্ষ সম্মেলন প্রতি ৩ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সদস্য দেশ বর্নানুক্রমে পালা করে এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে।

    দশ-বারো বছরের উন্নয়নের মাধ্যমে জি এস এম বিশ্ব উন্নয়ন এবং পূর্ব-এশিয়ার একীকরণে সবচেয়ে দ্রুত অগ্রগামী অঞ্চলগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। জি এস এম অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে উপঅঞ্চলের সদস্যদের বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সমর্থন দেয়। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জি এস এম অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার অবকাঠামো নির্মাণ, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ব্যক্তি মালিকানাধীন পাতের অংশগ্রহণ, মানব সম্পদের উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অবিরাম ব্যবহার এই ৫টি প্রধান কৌশলগত খাতে যোগাযোগ, জ্বালানী সম্পদ, টেলিযোগাযোগ, পরিবেশ, কৃষি, মানব সম্পদের উন্নয়ন, পর্যটন, বাণিজ্য সহায়তা ও পুঁজি বিনিয়োগ এই ৯টি ক্ষেত্রে ১শ' ৮০টিরও বেশি সহযোগিতামূলক প্রকল্পকে সমর্থন দিয়েছে এবং মোট ১ হাজার কোটিরও বেশি মার্কিন ডলার ব্যবহার করেছে।

    চীন সব সময় জি এস এম অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং সক্রিয়ভাবে এতে অংশ নিয়ে থাকে। যোগাযোগ, জ্বালানী সম্পদ ও টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীন সব সময় ইতিবাচক উদ্যোক্তা, নির্মাতা ও সাহায্যকারী। ইউন নান প্রদেশ ও কুয়াং সি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হচ্ছে চীনের সুনির্দিষ্ট সহযোগিতামূলক প্রকল্পে অংশ নেয়া প্রধান প্রদেশ ও অঞ্চল।