২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর টুমাস হেনড্রিক আইভস এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একই বছরের অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন।
এস্তোনিয়ার আয়তন ৪৫ হাজার ২ শ বর্গকিলোমিটার, বাল্টিক সাগরের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাল্টিক সাগর ও ফিনল্যান্ড উপসাগর, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে লাটভিয়া এবং পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া। তটরেখার দৈর্ঘ ৩ হাজার ৭ শ ৯৪ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৬১ হাজার। এর মধ্যে এস্তোনীয় ৬৭.৯ শতাংশ এবং রুশ ২৫.৬ শতাংশ। অন্যান্যরা ইউক্রেন ও বেলারুস জাতির মানুষ। এস্তোনিয়ার অধিকাংশ অধিবাসী খৃষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী। সরকারী ভাষা এস্তোনীয়। শহরে বসবাসকারী লোকসংখ্যা ৭০ শতাংশ।
রাজধানি তাল্লিন। এ শহরের লোকসংখ্যা ৪ লাখ। শহরে মোট ৮টি জেলা রয়েছে। এর মোট আয়তন ১৫৮.৩ বর্গকিলোমিটার।
১৯৪১ সালের ২২ জুন জার্মানি সোভিয়ত ইউনিয়ন আক্রমণ করে এবং জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের একটি অংশ হিসেবে এস্তোনিয়া দখলে রাখে । ১৯৪৪ সালের নভেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়ন এস্তোনিয়াকে মুক্ত করে । ১৯৯১ সালের ২০ আগস্ট এস্তোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়া জাতিসংঘে যোগ দেয়।
দেশটির বনাঞ্চলের আয়তন ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬ শ হেকটর, যা সারা দেশের মোট আয়তনের ৪৩ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের ১৩ নভেম্বর এস্তোনিয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগ দেয়। ২০০১ সালে দেশটির বৈদেশিক মুদার মজুদের মোট পরিমাণ ছিল ৮৩ কোটি মার্কিন ডলার। মাথা পিছু জি ডি পি ৪ হাজার ৪ মার্কিন।
১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে দু'দেশের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে সামনে এগিয়ে গেছে। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে চীন ও এস্তোনিয়ার বাণিজ্যের পরিমাণ ০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০০৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৫.১ শতাংশ বেশী।
২০০৫ সালের আগস্ট মাসে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। --ওয়াং হাইমান
|