৯ মে চীন ,যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আসিয়ানসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অব্যাহতভাবে ঘুর্ণিঝড় নার্গিসে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সাহায্য দিয়েছে ।
৯ মে জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি লিউ চেন মিন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বলেন, মিয়ানমারকে দেয়া চীনের ত্রাণ সামগ্রী ৭ মে ইয়াঙ্গুন বিমান বন্দরে পৌঁছেছে । ক্ষতি গুরুতর হওয়ার কারণে চীন সরকার মিয়ানমারকে আরও ৩ কোটি রেন মিন পি'র জরুরি ত্রাণ সাহায্য দেবে ।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্টুয়ার্ট আপটন বলেন, মিয়ানমার সরকারের অনুমোদনে ত্রাণ সামগ্রীবাহী মার্কিন বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমান ১২ মে মিয়ানমারে অবতরণ করবে । হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র গর্ডন জনড্রো মিয়ানমার সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী উ কিয়াউ থু মিয়ানমার দূতাবাসে মার্কিন অস্থায়ী কর্মকর্তা শারি ভিলারোসার সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য মিয়ানমার প্রত্যাখান করে নি বরং স্বাগত জানিয়েছে এবং এর জন্য ধন্যবাদ জানায় ।
৯ মে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক উপ-মহাসচিব জন হোমস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অবিলম্বে ১৮কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের ত্রাণ সংগ্রহ করে মিয়ানমারের দুর্গত এলাকার জনগণকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন । জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের দুর্গত এলাকায় ১ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে সেখানকার কৃষি উত্পাদন পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছে ।
(ছাও ইয়ান হুয়া)
|