৮ মে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও তাঁর হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াসুহিরো্ নাকাসোনে, তোসিক কাইফু , ইয়োসিরো মোরি ও আবে সিনজোর সঙ্গে প্রাতরাশকালে আন্তর্জাতিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ মত বিনিময় করেছেন। চীন ও জাপানের জন্য চীন-জাপান সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলোর অন্যতম । বতর্মানে অথর্নীতির বিশ্বায়ন গভীরভাবে বিকশিত হচ্ছে । এশিয়ার একায়নের প্রক্রিয়া গতিশীল করা হচ্ছে । আঞ্চলিক ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে চীন ও জাপানের সম্মুখীন অভিন্ন বিষয় ও দায়িত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে । এর পাশাপাশি দু'দেশের অভিন্ন কল্যাণ ও বিকাশের ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হচ্ছে । তিনি বলেন, পারষ্পরিক কৌশলগত আস্থা বাড়ানো, পরস্পকরের কল্যাণমূলক সহযোগিতা আরও বাড়ানো , মানবিক বিনিময় সম্প্রসরিত করা , এশিয়ার সককজর্তা তরান্বিত করা , বিশ্বজুড়ে চ্যালেঞ্জ মেকাবেলা করা এবং চীন-জাপান কৌশলগত ও পারস্পরিক কল্যাণের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চীন জাপানের সঙ্গে চেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক ।
ইয়াসুহিরো বলেন, দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চতুর্থ রাজনৈতিক দলিল হচ্ছে দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন পরিচালনার দলিল।এই দলিল ঐতিহাসিক তাত্পর্যসম্পন্ন।
তোসিকি কাইফু বলেন, দু'দেশের মধ্যে খোলা সেলা বিনিময় দু'দেশের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তিনি আশা করেন, দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষভাবে তরুণ-তরুণী ও কিশোর –কিশোরীদের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় জোরদার করা উচিত। এছাড়াও দু'দেশ ও দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থা বাড়ানো উচিত ।
ইয়োসিরো মোরি এশিয়া সম্পর্কিত তাঁর ধারণা অবহিত করেছেন । তিনি বলেন, এশিয়ার শান্তি ও উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাপান ও চীন সহযোগিতা জোরদার করবে বলে তিনি আশা করছেন।
আবে সিনজো বলেন, দু'দেশের সম্পর্ক উন্নত করার জন্য দু'দেশের নেতাদের মধ্যে সফর বিনিময় অত্যন্ত অথবর্হ । এ ছাড়া, দু'দেশের নেতাদের নিবিড় সফর বিনিময় দু'দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীলতার জন্য কল্যাণকর।
উল্লেখিত চার জন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেইচিং অলিম্পিক গেমসের শুভকামনা করেন ।
|