v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-09 16:28:32    
পররাষ্ট্র নীতিতে ব্যালে নৃত্য থেকে টেবিল-টেনিস

cri
    বন্ধুরা,জাপান সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৮ মে টোকিওতে দু'টি বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এখন শুনুন এ সম্পর্কে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার একটি রেকর্ডিং ভিত্তিক রিপোর্ট।এ সুপরিচিত সুর চীনের খুবই বিখ্যাত একটি গীতিনাট্য " সাদা চুল মেয়েটির" । ব্যালে নৃত্যকে কাজে লাগিয়ে জাপানী দম্পতি --শিমিজু মাসাও এবং মাতসুয়ামা মিকিকো গত শতাব্দীর ৫০ দশকে এ গীতিনাট্যকে ব্যালে নৃত্যে পরিণত করে এতে অভিনয় করেছেন। এই সাদা চুল মেয়েটির' ব্যালে নৃত্যে শিল্পীদের অভিনয় নিপুন নৃত্য ভঙ্গিমার মধ্য দিয়ে পরিবেশিত হয়। তাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মাতসুয়ামা ব্যালে নৃত্য দল ৫০ বছর ধরে ১২ বারের মত চীনে তাদের পরিবেশনা করেছে। যা তারা মাও সে তুং, চৌ এন লাই, তেং সিয়াও ফিং এবং চিয়াং জে মিনসহ চীনের তিন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। চীনের সঙ্গে তাদের অর্ধ শতাব্দীর ব্যালে নৃত্যের ধারাকে পরিচিত করিয়েছেন এবং একটি অবিস্মরনীয় ব্যালে নৃত্য পররাষ্ট্র নীতি ক্ষেত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করলো।

    এদিন সকাল আটটার সময় জাপান সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বিশেষ করে চীন ও জাপানের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কাজে নিবেদিত এ দু'জন জাপানী দম্পতিও তাদের ব্যালে নৃত্য দলের শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। জাপানী দম্পতি দ্বয় আনন্দের সঙ্গে চীনা বিশিষ্ট অতিথিকে অভ্যর্থনা জানান।জাপানের ব্যালে নৃত্য ক্ষেত্রের সবচে' বিখ্যাত শিল্পী এবং শিমিজু মাসাওয়ের পুত্রবধু মোরিশিতা ইয়ওকের নেতৃত্বাধীন কয়েক ডজন শিল্পী বিশেষভাবে হুয়াংহো নদী শীর্ষক সমবেত যন্ত্র সঙ্গীতের সুরের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এর সামনে " হুয়াংহো নদী" পরিবশ করেছেন।এর পর মোরিশিতা চীনের সাবেক প্রধান মন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের একটি বিখ্যাত কবিতা " ইয়ু চুং লুয়ান শান" গভীর আবেগের সঙ্গে আবৃত্তি করেছেন ।

    চীনের সঙ্গে গভীর মৈত্রী গড়ে তোলা একটি জাপানী পরিবারের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও তার ভাষণে বলেন:" মাতসুয়ামা ব্যালে নৃত্য দল বিশ্বের বিখ্যাত ব্যালে নৃত্য দলের একটি। শিমিজু মাসাও হচ্ছেন দীর্ঘকালীন প্রচেষ্টার মাধ্যমে চীন ও জাপানের মৈত্রী ক্ষেত্রের একজন নিরলস অগ্রণী কর্মী । অর্ধ শতাব্দী ধরে, চীন ও জাপানের সাংস্কৃতিক আদান প্রদান, দু'দেশের জনগণের সমঝোতা এবং মৈত্রী তরান্বিত করার জন্য তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। আমি আন্তরিকভাবে শুভকামনা করি মাতসুয়ামা ব্যালে নৃত্য দলটি ভবিষ্যতে আরও বেশি অগ্রগতি অর্জন করবে। একই সঙ্গে আমি শিমিজু মাসাও পরিবার এবং মাতসুয়ামা ব্যালে নৃত্য দলের সকল বন্ধুদের সুখী জীবন কামনা করি।"

   চীন ও জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ইতিহাসে ব্যালে নৃত্য পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্র ছাড়াও তার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে রয়েছে। তা হচ্ছে টেবিল-টেনিস। ১৯৫৬ সালের এপ্রিল মাসে টোকিওতে অনুষ্ঠিত ২৩তম বিশ্ব টেবিল-টেনিস প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণকারী চীনা খেলোয়াড় এখানে আন্তর্জাতিক টেবিল-টেনিস প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চে উঠেছেন এবং এর ফলে চীন ও জাপানের টেবিল-টেনিস আদান-প্রদানের প্রথম পদক্ষেপ আরো কিছুটা এগিয়ে গেলো। এদিন প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুকুদা ইয়াসুওয়ের সঙ্গে ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আদান প্রদান কেন্দ্রে পৌঁছান। এ কেন্দ্রের টেবিল-টেনিস খেলার বিষয়টি দু'দেশের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি অনুপ্রেরণাও যুগিয়েছে। এখানে টেবিল-টেনিসের বিশ্ববিখ্যাত চীনা খেলোয়াড় ওয়াং নান এবং চীনাদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় জাপানী খেলোয়াড় ফুকুহারা আই'র সঙ্গে টেবিল-টেনিসের চর্চা করছেন। ওয়াং নান প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওকে এ খেলায় আমন্ত্রণ জানান।প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও প্রথমেই ফুকহারা আই'র সঙ্গে টেবিল-টেনিস খেলেছেন। এর পরে ওয়াং নানও এ খেলায় অংশগ্রহণ করেন। হু চিন থাও দু'জন বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ চমত্কার দৃশ্য দু'দেশের তরুণ-তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ সময় সবাই সমস্বরে প্রেসিডেন্টকে উত্সাহ দিতে থাকেন। --ওয়াং হাইমান