v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-08 18:30:35    
জাপানের ওয়াসেদাদাইগাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের ভাষণ

cri
    চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৮ মে টোকিওর ওয়াসেদাদাইগাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন । তিনি বলেন , চীন -জাপান মৈত্রী দু' দেশের জনগণের অভিন্ন আকাংখা । দু' দেশের যুব সমাজে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রসারের প্রধান শক্তি । দু' দেশের যুব সমাজই সৌহার্দ্যময় সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে । তিনি বলেন , দু' দেশের যৌথ প্রচেষ্টা চীন ও জাপানের মৈত্রী সম্পর্ক বংশপরম্পরায় বজায় থাকবে ।

    ওয়াসেদাদাইগাকু বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় । ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথমে চীনের ছাত্রছাত্রীদের গ্রহণ করে । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওকুমা মিলনায়তনে ভাষণ দিয়েছেন । এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ওকুমার স্মরণে এ মিলনায়তন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান এ মিলনায়তনে ভাষণ দিয়েছেন ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেন চীন ও জাপান প্রতিবেশী দেশ । দু'দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে । দুটি দেশই উন্নয়নের নতুন সুযোগের সম্মুখীন । চীন সরকার ও জনগণ আন্তরিকভাবে আশা করেন ,জাপানী সরকার ও জনগণের সঙ্গে মিলে চীন সরকার ও চীনা জনগণ পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বাড়িয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করবে ।

    হু চিন থাও তার ভাষণে ইতিহাস ও বাস্তব দিক থেকে চীনের উন্নয়নের গতিপথ ব্যাখ্যা করে বলেন , চীনের ইতিহাস দীর্ঘ পাঁচ হাজার বছরের। দীর্ঘকাল ধরে চীনা জাতি সভ্যতা সৃষ্টি করে মানব জাতির অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে । একই সময় চীনের উন্নয়নের পথ কষ্টকর । চীন নানা পরিবর্তনের মুখে রয়েছে । গত ত্রিশ বছরের সংস্কারের গতিপথের সারসংকলন করে তিনি জোর দিয়ে বলেন , সংস্কারের কল্যাণেই গত ত্রিশ বছরে চীন উন্নয়নের সুফল পেয়েছে । পরবর্তীকালের উন্নয়নও সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের উপর নির্ভরশীল । এটা চীনের ১৩০ কোটি জনগণের দৃঢসংকল্প ।

    হু চিন থাও বলেন , চীন স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ কুটনৈতিক নীতিতে অবিচল থাকবে ,আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রায়ন তরান্বিত করার চেষ্টা করবে , চীন প্রতিরক্ষামূলক প্রতিরক্ষা নীতি কার্যকরী করে , সমরাস্ত্রের প্রতিযোগিতা করবে না । চীন কোনো দেশের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না এবং কোনোদিনই আধিপত্য প্রয়াসী হবে না ।

    চীন ও জাপানের মধ্যে দু' হাজার বছরের মৈত্রীপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হু চিন থাও বলেন , ইতিহাসে চীন ও জাপানের জনগণের সম্পর্ক ভালো । জাপানের সমরবাদী শক্তি চীনে আগ্রাসী যুদ্ধ বাঁধিয়েছিল বলে চীন -জাপান সম্পর্কে ঘুন ধরেছিল । এ দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কে হু চিন থাও বলেন , ইতিহাসই সবচেয়ে ভালো পাঠ্যপুস্তক । ইতিহাসের এ দুঃখজনক ঘটনা মনে রাখার অর্থ ঘৃণা বাড়ান নয় , বরং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তি রক্ষা করা , যাতে দু দেশের জনগণের ব্ন্ধুত্ব বংশপরম্পরায় অটুট থাকবে ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও দু'দেশের কৌশলগত কল্যানমূলক সম্পর্ক প্রসারের প্রস্তাব পেশ করেছেন । তিনি বলেন , দুটি দেশের যুবক-যুবতী দু'দেশের সৌহার্দ্যময় সম্পর্ক প্রসারের প্রধান শক্তি । আমি যুব লীগে কাজ করেছি । তাই যুব সমাজের সঙ্গে আমার বিশেষ অনুভূতি আছে । আমি তাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পছন্দ করি । দিনক্ষণ শুধু মানুষের চেহারা পরিবর্তন করতে পারে , মানুষের মধ্যেকার বন্ধুত্ব পরিবর্তন করতে পারে না । যুবকালে বপন করা বন্ধুত্বের বীজ আমাদের জীবনে বন্ধুত্বের মহীরূহে পরিণত হবে । আমি বিশ্বাস করি , চীন ও জাপানের মৈত্রী সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে ।

    জাপানের প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের ভাষণ শুনে বলেন , সংস্কার অভিযান চালানোর ৩০ বছরে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে । বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে । চীন ও জাপানের সহযোগিতা বাড়ানো উচিত । আমরা ভবিষ্যত সম্পর্কে আশাবাদী ।