মিয়ানমারের দুর্যোগকালীণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পৃথক পৃথকভাবে মিয়ানমারকে জরুরী সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৬ মে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও, প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি পৃথক পৃথকভাবে মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সমবেদনা বার্তা পাঠিয়ে মিয়ানমার সরকার ও জনগণের প্রতি তাদের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। এ ছাড়াও চীন মিয়ানমারকে ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং ৫ লাখ ডলারের জরুরি ত্রাণসাহায্য দেবে।
৭ মে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার মিয়ানমারের দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে ৩০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জরুরি ত্রাণসাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ৬ মে বলেন, মার্কিন নৌবাহিনীর একটি নৌবহর থাইল্যান্ডের কাছাকাছি এলাকায় ত্রাণে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ দিন হোয়াইট হাউস মিয়ানমারকে আরো ৩০ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
৬ মে স্পেন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচী সংস্থায় মিয়ানমারের ঘূর্ণিঝড়ের জন্য তহবিল গঠন করে সাহায্য হিসেবে ৫ লাখ ইউরো দেবে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক, ইইউ কূটনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক উর্ধতন প্রতিনিধি হ্যাভিয়ের সোলানা ৬ মে পৃথক পৃথকভাবে মিয়ানমারের দুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তাছাড়া ইন্দোনেশিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারকে জরুরি মানবিক সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
(খোং)
|