v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-05 19:10:18    
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো খাদ্য সংকটের মোকাবেলার চেষ্টা করছে

cri
    এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম অনেক বেড়েছে । কিছু দেশে অধিবাসীদের মধ্যে মজুদ করার জন্য চাল কেনার প্রবণতা দেখা দিয়েছে । প্রধান চাল রপ্তানী অঞ্চল হিসেবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো খাদ্য সংকট নিরসনের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে ।

    থাইল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ । গত বছর থাইল্যান্ড মোট ৯৫.৫ লাখ টন চাউল রপ্তানি করে ৩৫৯.২ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে । এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে । থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপাত্ত থেকে জানা গেছে , এ বছরের প্রথম চার মাসে থাইল্যান্ড ৪০.৭ লাখ টন চাল  রপ্তানি করেছে , এটা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৪ শতাংশ বেশি। চাল রপ্তানিথেকে পাওয়া বিদেশী মুদ্রার পরিমান ৬১ শতাংশ বেশি। ৪ মে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সামাক সুনদারাভেজ বলেন , বিশ্বে খ্যাদ্যাভাবের পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ড চাল রপ্তানি বন্ধ করার নীতি গ্রহণ করবে না । বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমান অনুযায়ী , এ বছর থাইল্যান্ডের একারই চালের রপ্তানির পরিমান আন্তর্জাতিক বাজারের মোট পরিমাণের অর্ধেক হবে ।

    চাল রপ্তানিকে সমর্থনের পাশাপাশি থাই সরকার চালের দাম নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা নিয়েছে । এপ্রিল মাসের শেষে থাই মন্ত্রিসভায় গৃহীত একটি প্রস্তাবে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য বাজার দরের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে অধিবাসীদের কাছে ২১ লাখ টন মজুদ চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।

    ভিয়েতনাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ । প্রাকৃতিক দুর্যোগের দরুণ এ বছর ভিয়েতনামের খাদ্য উত্পাদন অনেক কমেছে , তবে সেখানে খাদ্য সরবরাহের সমস্যা হবে না । এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ভিয়েতনামের কতিপয় শহরে চাল কেনার প্রবণতা দেখা দিয়েছে । সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে , ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ালে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে । ২৮ এপ্রিল ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন তান দুং বলেন , ভিয়েতনামের খাদ্য মজুদ পর্যাপ্তবলে অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানী চাহিদা মেটাতে পারবে । এ বছর ভিয়েতনাম ৩৫ লাখ টন চাল রপ্তানিকরবে।

    গত বছর কম্পুচিয়া ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছিল । কম্পুচিয়া সরকারের মুখপাত্র ও তথ্য মন্ত্রী খিইও কানহারিথ বলেন , যদি চালের দাম বাড়ার প্রবণতা ঠেকানোর চেষ্টা না করা হয় , তাহলে সব দেশের ক্ষতি হবে । দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া খাদ্য উত্পাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবকে কম্পুচিয়া সমর্থন করে । চাল উত্পাদনকারী দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে , নইলে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দামের সংকট আরো গুরুতর হবে ।

    ফিলিপাইন একটি চাল আমদানীকারক দেশ । চাল সংকট মোকাবেলার জন্য ইতোমধ্যেই তারা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । ফিলিপাইনের কৃষি মন্ত্রী আথার সি ইয়াপ ২ মে বলেন , ফিলিপাইন ১৬ লাখ টন চাল আমদানির অর্ডার দিয়েছে । অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটানোর জন্য ফিলিপাইন দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে আরো ৬.৭ লাখ টন চাল কিনবে । তিনি বলেন , চালের উত্পাদনের পরিমান বাড়ানোর জন্য ফিলিপাইন সরকার আন্তর্জাতিক ধান গবেষণাগারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । ২০১১ সালে ফিলিপাইন খাদ্যশস্যে স্বনির্ভর হবে ।

    ৩০ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সামাক সুনদারাভেজ মায়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় থাইল্যান্ড , ভিয়েতনাম , কম্পুচিয়া , লাওস ও মায়ানমার নিয়ে একটি চাল রপ্তানীকারক দেশগুলোর সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন , যাতে মিলিত চেষ্টায় আন্তর্জাতিক বাজারের চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় । তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কুরোদা হারুহিকো এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন । তিনি মনে করেন , এ সংস্থার প্রতিষ্ঠা শুধু চাল আমদানীকারক দেশের স্বার্থ নয় , চাল রপ্তানীকারক দেশের স্বার্থও ক্ষুন্ন হবে । ফিলিপাইনও এ প্রস্তাব বিরোধিতা করে । তাই এ প্রস্তাবের বাস্তবায়নের ভবিষ্যত নিয়ে এখন কিছু বলা মুশ্কিল ।

    এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কুরোদা হারুহিকো বলেন , সরবরাহের অপর্যাপ্ততাখাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ নয় । এশিয়ার খাদ্য সরবরাহ সব দেশের চাহিদা মেটাতে পারে । তিনি মনে করেন , চালের দামের দ্রুত বাড়া থেকে সৃষ্ট মানসিক চাপই খাদ্যের অতিরিক্ত দাম বাড়ার প্রধান কারণ ।