v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-05 17:57:17    
চীনের ছোং ছিং নগর দেশ বিদেশের মানব সম্পদ কাজে লাগানোর বিষয়টিকে জোরদার করছে

cri
    ছোং ছিং শহর পশ্চিম চীনের এক মাত্র কেন্দ্রশাসিত মহানগর হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ বিদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা অন্বেষণের ওপর খুবই গুরুত্ব দেয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ মহানগর সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। (১)

    চীনের সর্বকনিষ্ঠ কেন্দ্রশাসিত মহানগর হিসেবে ছোং ছিং নগর তার অর্থনীতির একটানা সাত বছরের দ্রুত উন্নয়নের ধারা বজায় রাখছে। ৮২ হাজার চার শো বর্গকিলোমিটার ভূভাগে ৩.২ কোটি জনগণের এই নগরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে দেশ বিদেশ থেকে আসা প্রতিভাদের অবদান।

    ছেন শু হচ্ছেন এসব প্রতিভাদের একজন। তিনি হচ্ছেন ছোং ছিং নগরের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমির মহাপরিচালক এবং ছোং ছিং গণ সরকারের উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রের স্থায়ী উপপরিচালক। তাছাড়া ছোং ছিং-এর উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া "সংস্কার" নামক একটি সাময়িক পত্রিকা তিনি সম্পাদনা করছেন। ছোং ছিংয়ের পরিবর্তনকে তিনি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন,(২)

    আমি ছোং ছিং নগর উন্নয়নের একজন প্রত্যক্ষদর্শী। দশ বছর ধরে তার উন্নয়ন আমি দেখেছি। প্রতি মাসেই এ নগর পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন কি প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। সাধারণত একজন লোকের এখানে বেশি দিন বসবাস করলে ক্লান্তি বোধ করার কথা। তবে এখনো আমি আবেগাপ্লুত আছি।

    ১৯৯৭ সালের ১৬ জুলাই ছোং ছিং চীনের চতুর্থ কেন্দ্রশাসিত মহানগরে পরিণত হবার কিছু দিনের মধ্যেই ছেন শু এবং অন্যান্য ডক্টরেট ডিগ্রীধারী ৩৮জন প্রথম দফার পরিসেবা গ্রুপের সদস্য হিসেবে এখানকার নির্মাণে যোগ দেন। এ ডক্টরেট ডিগ্রী ধারীদের পরিসেবা গ্রুপ হচ্ছে ছোং ছিং নগরের উদ্যোগে বৈদেশিক প্রতিভা সংগ্রহের একটি প্রকল্প। এক বছর পর ছেন শু এখানে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেছেন, তিনি ছোং ছিংয়ে অবসর পর্যন্ত কাজ করতে ইচ্ছুক। এখানে তিনি প্রাণবন্ত বোধ করেন।(৩)

    সমগ্র ছোং ছিং নগরের উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীরা আশার আলো দেখতে পারছে। এ নগর এখন চমত্কার। কেবল এ নগরের প্রাণবন্ত দিকটাই প্রকাশিত হচ্ছে তাই নয়, বরং চীন এমন কি বিশ্ব জনগণ ছোং ছিংয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের আশা দেখতে পাচ্ছে।

    ছেন শুর মত ছোং ছিং যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাং বো মিংও বিদেশ থেকে আসা একজন প্রতিভা। ছোং ছিং আসার আগে তিনি জাপান স্টেট নাগাওকা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে ও ডক্টরেট ডিগ্রীর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষকতার কাজ করতেন। তিনি আশা করেন, জাপানে শিক্ষা গ্রহণের জ্ঞান বাস্তব ভূমিকা পালন এবং তাঁর গবেষণার সাফল্য সত্যিকার অর্থেই ব্যবহার করতে পারবে। সুতরাং তিনি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ চীন দ্রুত উন্নয়নের দিকে চলছে। বহু প্রকল্প তাঁর ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে পারবে।(৪) তিনি বলেন,

    আমার পড়ার বিষয় হচ্ছে যোগাযোগ। সেতু ও সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশি চর্চার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। প্রতিদিন পরীক্ষাগারে বসে বিভিন্ন তত্ত্বগত সমস্যা সমাধান করা যায়। তবে বাস্তব প্রকল্পের সম্মুখিন সমস্যা পরীক্ষাগারে সুরাহা করা যায় না। প্রযুক্তিবিদরা প্রকল্পের প্রথম সারিতে এসব সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। সুতরাং আমি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেই। আমার বাস্তব প্রকল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত একটি চাকরি বাছাই করা প্রয়োজন। চাকরিটি এমন হতে হবে যেখানে কেবল আমার অবদান রাখা সম্ভব হবে।

    ১৯৯৯ সালে ছোং ছিং কেন্দ্রশাসিত মহানগরে পরিণত হবার তৃতীয় বছরে থাং বো মিং তার ছোং ছিংয়ের বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁর শশুরের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় ছোং ছিং বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানব সম্পদ আনার তথ্য পান। তারপর তিনি ছোং ছিংয়ের সংস্থাপন ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ব্যুরো প্রতিভা আনার মনোভাব দেখে তিনি বিস্মিত বোধ করেন।(৫) তিনি বলেন,

    তারা খুবই ঐকান্তিক। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের দ্বিতীয় দিনে পরিবহন ব্যুরোর কর্মকর্তা আমার সঙ্গে আলোচনা করে। এখানকার নির্মাণের পরিবেশে বিশেষ প্রতিভা খুবই প্রয়োজন।

    থাং বো মিং দু'মাস বিবেচনার পর ছোং ছিংয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।(৬) তিনি বলেন,

    ছোং ছিংকে বাছাই করার কারণ হল আমার শিক্ষাক্রমের মেজর। এখানে পাহাড় খুব উচুঁ। যাতয়াত খুবই কষ্টকর। ছোং ছিং চীনের বৃহত্তম যোগাযোগ জাদুঘরের মত।

    ছোং ছিং নগরের সড়ক ব্যুরোর উপমহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থাং বো মিং নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০টিরও বেশি গবেষণা প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বহু উত্পাদন ও পরিচালনা ক্ষেত্রের বাস্তব সমস্যার সমাধান করেছেন। ইতোমধ্যেই একটি সড়ক ডিজাইন প্রকল্পে তিনি সরকারের জন্য ছয় কোটি ইউয়ান সাশ্রয় করেছেন। এরপর তিনি সড়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন এবং দেশে ফিরে আসার সাফল্যের পুরস্কার পান।

    ছোং ছিং নগরের প্রতিভা বিষয়ক কার্যালয়ের স্থায়ী উপপরিচালক সিয়ে সিন এ সম্পর্কে বলেন, কেন্দ্রশাসিত মহানগর হওয়ার পর দশ বছরেরও বেশি সময় ছোং ছিং বহু শ্রেষ্ঠ মানব সম্পদকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ২০০৬ সালে যুব প্রতিভা ফোরাম গড়ে তুলেছে। (লিলু)