v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-05-05 16:49:53    
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের জাপান সফর

cri
চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৬ মে থেকে জাপানে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করবেন। দশ বছর পর এটা চীনের কোন প্রেসিডেন্টের প্রথম জাপান সফর। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাদার একটি ভাষ্য । ভাষ্যটির শিরোনাম “ চীন -জাপান সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি “ উষ্ণ বসন্ত সফর”। এই “উষ্ণ বসন্তসফর” -এর আগে চীন-জাপান সম্পকৃ নানা টানা পড়েনেয় ভেতর দিয়ে এগিয়েছে। চীনের আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণালয়ের জাপান বিষয়ক বিভাগের উপ পরিচালক মা চিন উয়ে মনে করেন, গত এক বছরেরও বেশী সময়ের মধ্যে দু’দেশের নেতাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দু’দেশের সম্পর্ক ভালোর দিকে বিকশিত হচ্ছে । তিনি বলেন, ২০০৬ সালে আবে সিনজো জাপানের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর চীন সফর ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর । এর আগে টানা ছ’বছরের মধ্যে দু’দেশের উচ্চ পদস্থ নেতাদের মধ্যে কোনো সফর বিনিময় হয়নি । সুতরাং আবে সিনজোর চীন সফরটিকে “ বরফ গলার সফর” বলে আখ্যায়িত করা হয়। এর প্রায় ছ’মাস পর চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও জাপান সফর করেন । ওয়েন চিয়া পাওয়ের জাপান সফরকে “ বরফ গলার” বিনিময় সফর বলে গণ্য করা হয়। এখন ফুকুদা ইয়াসুও আবে সিনজোর চেয়েও দু’দেশের সম্পর্ককে আরও বেশী গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। চীন ও জাপানের সম্পর্ক অব্যাহতভাবে “ চীন-জাপান যৌথ বিবৃতি” ,” চীন-জাপান শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি” ও” চীন-জাপান যৌথ ঘোষণা” এ তিনটি রাজনৈতিক সমঝোতা দলিলের ভিত্তিতে বিকশিত হচ্ছে। ছিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লিও চিয়াং ইয়াং বলেন, চীন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহতভাবে গভীরে বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের এবারকার সফর অবশ্যই দু’দেশের সম্পর্কের জন্য মাত্রা যোগ করবে। তিনি বলেন, চীন ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত তিনটি দলিল হচ্ছে দু’দেশের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি । বিশেষভাবে উল্লেখ করা দরকার যে, এ বছর হল দু’দেশের মধ্যে শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০তম বার্ষিকী। এ তিনটি দলিলের ভিত্তিতে নিজ নিজ দেশের বাস্তবতা অনুযায়ী আরও নতুন বিষয়বস্তু যোগ করা হবে । লিও চিয়াং ইয়াং আরও মনে বরেন, প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের এবারকার জাপান সফর দু’দেশের সম্পর্কের অনেক বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে । তিনি বলেন, প্রথমতঃ নতুন পরিস্থিতিতে দু’দেশের উচ্চ পদস্থ নেতাদের মধ্যে সফর বিনিময় আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দ্বিতীয়তঃ কিছু কিছু নতুন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে বিশদ সহযোগিতার সুযোগ উন্মোচিত হবে । তৃতীয়তঃ এ বছর হল দু’দেশের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মৈত্রী বিনিময় বর্ষ । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের এবারকার জাপান সফরের ফলে ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যে বে-সরকারী সফর বিনিময় আরও নিবিড় হবে । নিঃসন্দেহে এখনো দু’দেশের সম্পর্কে কিছু কিছু বিরুপ উপাদান রয়ে গেছে । এ সব সমস্যা পাশ কাটানোর মতো নয়। চীনের সমাজ বিজ্ঞান গবেষণালয়ের জাপান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গাও হং মনে করেন, দু’টো বৃহত দেশ হিসেবে চীন ও জাপানের এ সব সমস্যা মোকাবেলার সামর্থ্য থাকা উচিত । তিনি বলেন, চীন ও জাপান পূর্ব এশিয়ার দু’টো প্রতিবেশী দেশ। বিশ্বে দু’দেশের প্রভাব অনেক ব্যাপক। দু’দেশের সম্পর্কে কিছু কিছু বিরোধ থাকতে পারে । এটা কোনো আশ্চর্যের ব্যাপার নয়। এ সব বিরোধ দূর করার জন্য দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতক্ষণ আজকের প্রতিবেদন শুনলেন। শোনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।