তিব্বতের ঐতিহাসিক বিকাশের ওপর একটি বড় আকারের প্রদর্শনী চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । প্রদর্শনীতে বহু দলিলপত্র , পুরাকীর্তি ও আলোকচিত্র দিয়ে ১৯৫৯ সালের আগের তিব্বতের সামন্ততান্ত্রিক কৃতদাস ব্যবস্থার কুত্সিত ও পশ্চাতপদ চেহারা এবং আজকের তিব্বতের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখানো হয়েছে । দর্শকরা একবাক্যে বলেন , সামন্ততান্ত্রিক কৃতদাস ব্যবস্থার কারণে পুরনো তিব্বতের সমাজ কুত্সিত ও পশ্চাতপদ ছিল ।
দর্শক চৌ ছাং ফোং বলেন , কৃতদাসদের অবস্থা শোচনীয় ছিল । তাদের থাকার বাড়িঘর পর্যন্ত ছিল না । সব জমি মালিদের হাতে ছিল । কৃতদাসদের কোনো জমি ছিল না । অনেকে খেতেও পারতো না ।
সি ছুয়ান প্রদেশ থেকে আসা দর্শক ইয়াং ছি চি বলেন , ৫০ বছর আগে তিব্বত সামন্ততান্ত্রিক কৃতদাস ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল । সেটা যুগের বিকাশের স্রোতের সংগে সংগতিপূর্ণ ছিল না । আজ দালাই আবারো সে রকম কুত্সিত শাসন কায়েম করতে চান । একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে তিনি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না । দালাই এখন একজন রাজনৈতিক ভিক্ষুতে পরিণত হয়েছেন ।
রেল শ্রমিক ই পোও ছিং হাই- তিব্বত রেলপথ নির্মাণের কাজে অংশ নিয়েছিলেন । তিনি বলেন ,
লাসা রেল স্টেশন আমরাই নির্মাণ করেছি । এটি একটি অত্যন্ত সুন্দর রেলপথ । এ রেলপথ চালু হওয়ার পর তিব্বতের পর্যটন শিল্পের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে ।
|