v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-30 16:38:59    
ইরানের প্রেসিডেন্টের দক্ষিণ এশিয়া সফর শেষ

cri
    ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় পাকিস্তান , শ্রীলংকা ও ভারতে তার দু'দিনব্যাপী সফর শেষ করেছেন । তার এবার সফরের উদ্দেশ্য হল ইরান , পাকিস্তান ও ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পে ভারত ও পাকিস্তানের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা । তার এবার সফর সাফল্য হয়েছে ।

    গত শতাব্দীর ৯০ দশকে ইরান -পাকিস্তান-ভারত প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা প্রথম বারের মত উত্থাপিত হয় । এ প্রকল্পে প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে । প্রকল্প কার্যকর হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের জ্বালানী সরবরাহের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে । ইরান , পাকিস্তান ও ভারত তিনটি দেশ এ লাইনের নির্মাণ নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছে , তবে ততটা অগ্রগতি হয় নি । গত বছরের জুলাই মাসে ভারত ও পাকিস্তান প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পের কাজে নিজ দেশের পাইপলাইন নির্মানের ব্যয় নিজেদের বহনের ব্যাপারে মতানৈক্য না হওয়ায় আলোচনাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । চলতি মাসের ২৫ এপ্রিল ভারত ও পাকিস্তান এ প্রকল্পের প্রধান সমস্যা নিরসনের জন্য একমত হয়েছে এবং আগামী বছর নির্মাণ কাজ আবারও শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । তবে ভারত সম্প্রতি আবার ইরানের এ প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করার প্রস্তাবে রাজি হয় নি এবং তেহরানে অনুষ্ঠেয় ইরান , ভারত ও পাকিস্তানের তিনপক্ষীয় প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনে অংশ নিতে অস্বীকার করেছে ।

    এ প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন সময় মত নির্মিত হলে ইরান তার জ্বালানী রপ্তানীর আয় নিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে পারবে তাই নয় , বরং তার ওপর আরোপিত শাস্তির চাপ কমিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যেকার সম্পর্কও উন্নত করতে পারবে । তাই জ্বালানী কূটনীতি ত্বরান্বিত করা এবং ভারত ও পাকিস্তানের মতানৈক্য দূর করার হল মাহমুদআহমাদি নেজাদের এবার সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ।

    ২৮ এপ্রিল পাকিস্তান সফরকালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ও প্রধান মন্ত্রী সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গে মাহমুদ আহমাদি নেজাদ এক বৈঠক করেছেন এবং প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্প , দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আফগানিস্তান সমস্যায় সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন । দু'পক্ষ বলেছে , দু'দেশ প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্প সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান করেছে এবং ইরান-পাকিস্তান-ভারত প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পের সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরেও সম্মত হয়েছে ।

    ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় আহমাদি নেজাদ শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং ইরানের সহায্যে শ্রীলংকার জলসেচ করা প্রকল্প সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন । শ্রীলংকায় ইরানের আর্থিক সাহায্য অবশ্যই দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে সহায়ক হবে ।

    ভারত হল আহমাদি নেজাদের দক্ষিণ এশিয়া সফরের শেষের ধাপ , এবং তাও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । ২৯ এপ্রিল বিকালে আহমাদি নেজাদ নয়াদিল্লী পৌঁছে মাত্র ৫ ঘন্টার জন্য ভারত সফর করেছেন । তিন বছরের অচলাবস্থার পর ইরান ও ভারত দ্বিপক্ষিয় সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্বকে উপলব্ধি করেছে । ইরানের জন্য ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করা হল তার জ্বালানী সহযোগিতার কৌশল বাস্তবায়নের একটি অংশ । ভারতের জন্য অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের স্থিতিশীল সরবরাহের উত্স খুঁজতে হবে । তাই জ্বালানী সহযোগিতা ভারত ও ইরানের সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করার একটি উপদান হয়েছে ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন , অর্থনীতি ও জ্বালানীসহ বিভিন্ন উপদান ছাড়াও আহমাদি নেজাদের দক্ষিণ এশিয়া সফর ভারত , পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের উন্নয়নের একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে । সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌলশগত সম্পর্কের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারবে কি না , তা এসব দেশের প্রচেষ্টার ওপরও নির্ভর করে । (শুয়েই ফেই ফেই)