v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-25 18:23:52    
খাদ্যশস্যের দাম নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ

cri
    শ্রোতাবন্ধুরা, সম্প্রতি খাদ্যশস্যের দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। " খাদ্যশস্য সংকট" এখন মানবাজাতির প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে । আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খাদ্যশস্য ও তেলের দামের ওপর অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য সংকট দেখা দেওয়ায় মর্মাহত। এ ব্যাপারে এফ এ ও'র বিশেষজ্ঞ আবদোলরেজা আব্বাসিয়ান নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। এখন শুনুন এ সম্পর্কে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার একটি রেকর্ডিং ভিত্তিক রিপোর্ট ।

   আব্বাসিয়ান আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন:" বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য সংকট ১৯৭৩ সালের বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পর্যায়ে যায়নি। কারণ ১৯৭৩ সালে খাদ্যশস্য কিনতে চাইলেও পত্তিয়া যেত না। খাদ্যশস্যের সরবরাহ থেকে বোঝা যায় যে, এখনও আমাদের খাদ্যশস্যের মজুদের পরিমাণ যথেষ্ট। খাদ্যশস্যের দামের অব্যাহত বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি মনে করেন " আবহাওয়ার দুর্যোগে খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর উত্পাদনের পরিমাণ কমেছে । তেলের বাড়তি দামও খাদ্যশস্য উত্পাদনে প্রভাব ফেলেছে। তবে মার্কিন ডলারের মন্দাভাব এবং অস্থিতিশীল আর্থিক বাজারসহ অন্যান্য বিষয় খাদ্যশস্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরাসরি দায়ী নয়। চলমান অবস্থা বেশ জটিল বলে খাদ্যশস্যের দামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।"

    জনমত মনে করে, খাদ্যশস্যের দাম বেশি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে জৈব জ্বালানি তৈরীতে ব্যাপক ফসলের ব্যবহার। এ সমস্যায় আব্বাসিয়ানের অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। তিনি মনে করেন ,এ সমস্যা সত্যিকারভাবে খাদ্যশস্যের দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ , তবে এটি মূল কারণ নয়। চীন এবং ভারতসহ নতুন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ব্যাপকভাবে খাদ্যশস্য আমদানি করায় খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে বলে যে ধারণা চালু রয়েছে আব্বাসিয়ান তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, " চীন ও ভারত উভয়েই নিজেদের খাদ্যশস্যের চাহিদা নিজেরাই পূরণ করতে সক্ষম। আসলে এদু'টি দেশে চাহিদা বাড়ার দু'টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে জনসংখ্যা ও আয় বৃদ্ধি। তবে এ অবস্থার কারণে কৃষি ক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগও বেড়েছে। একই সঙ্গে কিছু কিছু দেশের কৃষি উত্পাদনও ব্যাপক বেড়েছে। সুতরাং এটি একটি খুবই চমত্কার ব্যাপার। খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য ধারাবাহিক ব্যবস্থা নেওয়ায় তিনি চীন সরকারের প্রশংসা করে। তিনি বলেন, " আমি মনে করি, এ পর্যন্ত চীন সরকারের কৃষি নীতি খুবই ভাল। খাদ্যশস্যের উত্পাদন তরান্বিত করার ক্ষেত্রে দেশের খাদ্যশস্যের চাহিদা পূরণ করার জন্য চীন যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়েছে। পানি ও জমি সমস্যার মোকাবিলা এবং শাক-সবজির চাহিদা পূরণ বাড়তি নীতি নির্ধারণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ বছর চীন সরকার খাদ্যশস্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাম উন্নীত করেছে এবং কৃষকদেরকে বেশি বেশি উত্পাদন করতে উত্সাহ দিয়েছে। এতে ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে।"

   এখন মানুষের অভিন্ন স্বার্থ ও আকাঙক্ষা কবে খাদ্যশস্যের দাম আয়ার কমতে শুরু করবে । তিনি মনে করেন, এফ এ ও'র অনুমান অনুসারে এ বছর খাদ্যশস্যের উত্পাদনের মোট পরিমাণ বাড়বে। --ওয়াং হাইমান